হঠাও উধাও স্বামী-স্ত্রী, ৪ দিন পর পুকুরে মিলল গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি দেহ

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীর। ৪ দিন পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মিলল গৃহবধূর বস্তাবন্দি দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাটে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসিরহাটের দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সত্যজিত্ নাথের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পিয়ালি নাথের। স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসার। কিন্তু সংসারে নিত্য পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। পাড়া-পড়শিরা রোজই শুনতে পেতেন কথা কাটাকাটির আওয়াজ। কিন্তু হঠাত করেই আর এলাকায় আর দেখা যাচ্ছিল না পিয়ালি ও সত্যজিত নাথকে। স্বামী-স্ত্রী পাড়া থেকে হঠাত্ উধাও হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ দানা বেঁধেছিল এলাকাবাসীর মনে। এভাবেই ৪ দিন কেটে যায়।

এরপরই এদিন সকালে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ টের পায় স্থানীয়রা। দেখা যায়, সত্যজিতদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে পুকুরের ঝোপঝাড়ের মধ্যে থেকে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় পিয়ালি নাথের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, বচসা চলাকালীন স্ত্রী পিয়ালি নাথকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী সত্যজিত। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে হাত, পা বেঁধে দেহ বস্তায় পুরে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। খুন, দেহ লোপাট সব মিটে গেলে বাড়িতে তালা লাগিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় স্বামী সত্যজিত নাথ।

পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মাটিয়া থানার পুলিস। অভিযুক্ত সত্যজিত নাথের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।