নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রেমের কাঁটা ছিলেন স্ত্রী। তাই প্রেমিকার সঙ্গে ছক কষে স্ত্রীকেই শেষ করে দেওয়ার ছক কষেন স্বামী। প্ল্যান মাফিক, স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢালেন প্রেমিকা আর তাতে দেশলাই ছুড়ে দেন স্বামী। চোখের সামনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকেন স্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য নিজের ৯ মাসের শিশুকন্যাকেও ছুড়ে দেওয়া হয় আগুনে। যদিও প্রতিবেশীদের তত্পরতায় শিশুকন্যাকে রক্ষা করা গিয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বস্থলীর জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েক বছর আগে পূর্বস্থলীর জয়কৃষ্ণপুর গ্রামেরই বাসিন্দা উর্মিলাকে বিয়ে করেন মহিবুল শেখ। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই নানা ভাবে তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন মহিবুল। ন’মাস আগে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন উর্মিলা। কিন্তু অশান্তি তাঁদের মধ্যে লেগেই থাকত।


আরও পড়ুন: স্বামী কালো, তাই সবাইকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে বাড়ির পিছনে বসেই আসল কাজ করলেন স্ত্রী!


অভিযোগ, ইদানীং আলেমা নামে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহিবুল। স্ত্রীর সামনেই আলেমার সঙ্গে নানা রকম অশ্লীল আচরণ করতেন মহিবুল। উর্মিলা তা মানতে পারতেন না। প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু গোটা বিষয়টিতে প্রশ্রয় দিতেন মহিবুলের বোন। তিনিই একসময় আলেমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন দাদার। স্ত্রী যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখনই আলেমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে মহিবুলের। কন্যাসন্তান হয়ে যাওয়ার পরও মেলামেশা বন্ধ হয়নি তাঁদের।  সেকারণে আলেমার সঙ্গেই ছক করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে মহিবুলের বিরুদ্ধে।


অভিযোগ, বুধবার আলেমাকে নিয়েই বাড়িতে আসেন মহিবুল। উর্মিলা রুখে দাঁড়ান। অভিযোগ, এরপরই আলেমার উর্মিলাকে শাড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন। মহিবুল দূর থেকে উর্মিলার গায়ে দেশলাই ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ।
ন’বছরের শিশুকন্যাকেও আগুন ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।কিন্তু উর্মিলার আর্তনাদে ততক্ষণে বাড়িতে চলে আসেন প্রতিবেশীরা।



আশঙ্কাজনক অবস্থায় উর্মিলাকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উর্মিলার পরিবারের তরফে পূর্বস্থলী থানায় মহিবুল ও তাঁর বোন ও প্রেমিকার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। শিশুটিকে উর্মিলার বাপেরবাড়ির লোক নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন।