নিজস্ব প্রতিবেদন:  শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত, সেখান থেকে ঝরছে রক্ত। প্রাণ নেই। নিথর মায়ের কোলের মধ্যে জাপটে রয়েছে তিন বছরের শিশু। সেও রক্তাক্ত, গোঙানি বেরোচ্ছে মুখ দিয়ে। আর তার পাশেই পড়ে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত বাবার দেহ। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা! কিন্তু একটা হাসিখুশি, স্বাভাবিক ছন্দে চলা পরিবারে কেন এমন পরিণতি? পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার বিহারীশোল গ্রামে এখন ঘোরাফেরা করছে এই প্রশ্নই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 মালতি হেমরম ও তার স্বামী কাঞ্চন হেমরম শালবনির বাসিন্দা। পরিবারে টাকার অভাব ছিল, কিন্তু আত্মীয়দের কথায় তাঁদের পরিবারে অভাব ছিল না খুশির। স্বামী-স্ত্রী আর তিন বছরের ছোট্ট শিশুকন্যাকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাঁদের। দিন তিনেক আগে তিন বছরের শিশু কন্যা পূজা হেমরমকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিহারীশোল গ্রামে বাপের বাড়িতে আসেন। রবিবার ভোররাতে মালতির চিৎকার শুনে ছুটে আসে বাপের বাড়ির সদস্যরা। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে ছাদের কার্নিশ টপকে ঘরের ভেতরে ঢোকেন তাঁরা।



 স্বামী, স্ত্রী দুজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাড়ির ভেতর থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চন্দ্রকোনা রোড বিট হাউসের পুলিস। মায়ের কোলেই ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত শিশুটি কাতরাচ্ছিল।


আরও পড়ুন: আমফান না হলে ফিরহাদের পরিচয়ই জানা যেত না: দিলীপ ঘোষ
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে শিশুকন্যাকে নিয়ে যাওয়া হয় দ্বাড়িগেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে,অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছুরি জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মালতিকে খুন করার পর কোলের শিশুকেও ছুরি মারে কাঞ্চন। এরপরই আত্মঘাতী হয় সে নিজে। দেহ দুটি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। অন্যদিকে মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।