স্বামীর পরকীয়া প্রেমের কথা জানতে পেরেছিল স্ত্রী! বিয়ের ৩ বছর পর মর্মান্তিক পরিণতি
৩ বছর আগে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে বিয়ে হয় সমীর পাত্রের। দম্পতির দু`মাসের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামীর পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করেছিল স্ত্রী। তাই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত খুন হতে হল গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁকে জেরা করেই শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি থানার নন্দকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সমীর পাত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢোলাহাট থানার দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকুমার ভুঁইয়ার ছোটো মেয়ে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় সমীর পাত্রের। দম্পতির দু'মাসের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন, কীভাবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদে এরাজ্যের গ্রাহকরা? তদন্তে ফাঁস 'মোডাস অপারেন্ডি'
জানা গেছে, বিয়ের পর প্রথম দিকে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল ইন্দ্রাণী ও সমীরের। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর থেকেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করে। পণের দাবিতে সমীরের পরিবার ইন্দ্রাণীর উপর অত্যাচার শুরু করে। এমনই অভিযোগ ইন্দ্রানীর মা কল্পনাদেবীর।
আরও পড়ুন, কবর খুঁড়ে বের করলেই 'বেঁচে উঠবে' মৃত সন্তান! স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাবা যা করলেন...
কল্পনাদেবীর আরও অভিযোগ, প্রতিবেশী একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েছিল সমীর। স্বামীর পরকীয়া প্রেমের কথা জানতে পেরে যায় তাঁর মেয়ে ইন্দ্রাণী। এরপরই এই ঘটনার কথা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানায় ইন্দ্রাণী। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ির ছেলেকে কিছু বলার বদলে ইন্দ্রাণীর উপরই অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন, ২ পাতার লম্বা সুইসাইড নোট লিখে নিজেকে নির্মমভাবে শেষ করে দিল কলেজছাত্রী
অবশেষে মঙ্গলবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইন্দ্রাণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রায়দিঘি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ইন্দ্রানীর মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ইন্দ্রাণীর শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।