ওয়েব ডেস্ক: "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে নিজের শক্তি দেখাচ্ছেন। কিন্তু উনি হয়ত ভুলে যাচ্ছেন আমি গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমিই পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে যেন কোনও রকম অশান্তি না হয়, তার জন্য আমি ওনাকে সতর্ক করছি", মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সুরেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। এখানেই শেষ নয়, বিমল গুরুং আরও একধাপ এগিয়ে কার্যত হুমকি দিয়ে বলেন, "কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব। আমরা এনডিএ জোটে আছি। পাহাড়ের সাধারণ মানুষের ওপর পুলিস যে বর্বর নির্যাতন নামিয়ে আনছে, সেইসব রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা করব"। অবশ্যই পড়ুন- পাহাড়ে কেনও এই অশান্তি, কেনও এই আগুন? নেপথ্যে কী... 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, কাল থেকেই অগ্নিগর্ভ অবস্থা পাহাড়ে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার মন্ত্রিসভার বৈঠক, অন্যদিকে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোর্খাদের বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ছবিটাই টেলিভশনের পর্দায় বার বার ভেসে এসেছে। তবে সময় যত এগিয়েছে ততই উত্তাপ বেড়েছে শৈল শহরে। একটা সময় পুলিসভ্যানে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষিপ্তভাবে পর্যটকদের ওপরও হামলা চালায় মোর্চা সদস্যরা। উত্তাপ বাড়তে থাকে পাহাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। পরে পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় প্রশাসন। 


এমন অবস্থায় পাহাড়ে থেকেই মোর্চার 'জঙ্গিপনা'কে সামাল দিতে উদ্যত হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। দুই মন্ত্রীকে রেখে গোটা মন্ত্রিসভাকে শিলিগুড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক তো করছেনই, সঙ্গে পাহাড়ে আটকে পরা পর্যটকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেদিকেও তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন তিনি।