নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত জটে হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি হল নতুন নজির। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে, ভাঙড়ের ৯ প্রার্থীর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মনোনয়ন বৈধতা পেল। এদিন আদালত কমিশনকে স্পষ্ট জানায়, এই ৯ প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ দিতে হবে। ৯ প্রার্থীর গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষিত না হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট স্থগিত করার নির্দেশও দেওয়া হতে পারে বলে এদিন সতর্ক করেছে আদালত। আর এর ফলে, কার্যত অনলাইন নমিনেশনের দরজা খুলে দিল আদালত এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননা, কমিশনকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের
 
মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সোমবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড় আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন পোলেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ জন ইচ্ছুক প্রার্থী। হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার কমিশনারকে বিষয়টি টেলিফোনে খোঁজ নিতে নির্দেশ দেন। পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে কমিশন আদালতে বিষয়টি জানায়। এরপর বিচারপতির নির্দেশ, প্রত্যেকে যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকে। আর যদি এই কাজ না করা হয়, তাহলে তা আদালত অবমাননার সামিল হবে বলেও জানান বিচারপতি।
  আরও পড়ুন: যুবকের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বীরভূম, 'বঁটিতে শান দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা'!
সোমবার আদালতের ওই নির্দেশের পরও তাঁরা আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে আদালতে এই রিপোর্ট জমা দেয় নির্বাচন কমিশন। শুনানির সময়ে ভাঙড়ের ৯ প্রার্থীর প্রাণনাশের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করা হয় আদালতে। আরও জানানো হয়, ৯ প্রার্থীই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিডিও-র কাছে তাঁদের মনোনয়ন পাঠিয়েছেন। বিডিও সেই মনোনয়নপত্র স্বীকারও করেন বলে আদালতে জানান ভাঙড় আন্দোলনের নেত্রী তথা মামলার আবেদনকারী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। এরপরই হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ভাঙড়ের ওই ৯ প্রার্থীর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জমা দেওয়া মনোনয়নকে মান্যতা দিতে হবে। আদালত কমিশনকে আরও প্রশ্ন করে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে কবে? নির্দিষ্ট দিনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ওই ৯ প্রার্থীর নাম না থাকলে ভোট স্থগিত হয়ে যাবে বলেও জানান বিচারপতি। 
এ বিষয়ে ৩০ এপ্রিল কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। তবে, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আদালত।