মৃ্ত্যুঞ্জয় দাস: পুরনো ফর্মে দিলীপ ঘোষ। মোদীর পেছনে লাগলে উদ্ধব ঠাকরে, নীতীশ কুমারের মতো দশা হবে। পেছনে লাগলে হয় সিবিআই নয়তো ভগবান নিয়ে যাবে। ওই দুই উদাহরণ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সতর্ক করে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার ওই মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়ে গেল রাজনৈতিক বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাইরনকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ অভিষেকের, পাল্টা দিলেন অধীর


শনিবার বাঁকুড়ার মাচানতলায় চায়ে পে চর্চায় দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার, মোদীর পেছনে কাঠি দিলে নীতীশ কুমার হবে, নয়তো মুলায়ম সিং হবে, কিংবা উদ্ধব ঠাকরে হবে। মোদীর বিরুদ্ধে লাগলে শেষে মমতারও হবে। এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা আরও বলেন, সত্যের সঙ্গে আছি। সমাজের সঙ্গে আছি। যারা দেশের ক্ষতি করবে, সমাজের ক্ষতি করবে তাদের আজ হোকা বা কাল হয় ভগবান নিয়ে যাবে বা সিবিআই নিয়ে যাবে। বাঁচার কোনও রাস্তা নেই।


অন্যদিকে, শনিবার সন্ধেয় বাঁকুড়ার নিকুঞ্জপুরে বিজেপির ধিক্কার সভায় দলীয় কর্মীদের দিলীপ ঘোষের নিদান, বুথে ফালতু লোক ঢুকে ভোট লুঠ করতে এলে ভালো করে ট্রিটমেন্ট করে দেবেন। হাসপাতালের আগে আপনারা ট্রিটমেন্ট করবেন। তার জন্য কাঁচা বাঁশের ড্য়াং লাগবে। সেই ড্যাংয়ে যেন গাঁট থাকে। লাগলে যেন ভেতরে লাগে।  যা হয়ে গিয়েছে তা গিয়েছে। পরিশ্রম করে সংগঠ করেছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। আর ভোটের দিন ভোট লুঠ করবে তা সহ্য করব না।  


বাঁকুড়া জেলা সফরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তাঁর ৩টি সভা ছিল।  দিলীপের ওই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ওদের নীতিই হল বিরোধীদের বাঁচতে দেবে না। সেটাই মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। ভগবান নিয়ে য়াবে মানে কী? তাকে মরে যেতে হবে। অর্থাত্ কোথাও এভাবে মারা হবে, কোথাও ওভাবে মারা হবে। আর তা না হলে সিবিআই নিয়ে যাবে। তার মানে ওঁরাই সিবিআই পাঠাবেন। দিলীপ ঘোষ একটা সহজ সরল স্বীকারোক্তিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, হয় এজেন্সি দিয়ে মারবেন নয়তো প্রাণে মারবেন। এসব কথাবার্তা যত বলবেন ততই মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন। ২০২৪ সালের পর এসব কথাবার্তা কোথায় থাকে দেখব।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)