যত খুশি গালাগালি দিন, তৃণমূলের পাশে থাকা নিয়ে মত বদলাবে না, বললেন তন্ময়
একই সঙ্গে গৌতম দেবের সুরে তিনি বলেন, `রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতা বলে কিছু হয় না।` এখন যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, `মোদী প্রধানমন্ত্রী বলে কি সেই যুদ্ধের বিরোধিতা করব?`
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে ক্রমশ কাছাকাছি আসছে তৃণমূল আর সিপিএম। বিজেপিকে রুখতে পরস্পরের হাত ধরতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। সেই তালিকায় সাম্প্রতিকতম নাম সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। রবিবার তিনি বলেন, বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল নেতা তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়াতেও রাজি আছি। এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ফেইসবুকে পালটা সাফাই দিয়েছেন তন্ময়বাবু। তাতে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপস্থাপনা করেছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তন্ময়বাবু লেখেন, যাঁরা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছেন তাঁদের উপেক্ষা করছি। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। মধ্যমগ্রাম মোড়ে যদি কাউকে জয় শ্রী রাম না বলায় মারধর করা হয়। আমি তা রুখতে গেলে যদি সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়বাবুও আসেন, আমি কি আক্রান্তকে ছেড়ে চলে যাব?'
একই সঙ্গে গৌতম দেবের সুরে তিনি বলেন, 'রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতা বলে কিছু হয় না।' এখন যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, 'মোদী প্রধানমন্ত্রী বলে কি সেই যুদ্ধের বিরোধিতা করব?'
“বিজেপিকে ঠেকাতে বালুর পাশেও দাঁড়াতে পারি”, তৃণমূলকে বার্তা এই সিপিএম নেতার
নিজের পুরনো বক্তব্যে যে তিনি অনড় তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, যত খুশি গালাগালি দিন, তাতে সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
রবিবার তন্ময়বাবু বলেন, ইস্যুর ভিত্তিতে তৃণমূলের পাশে থাকতে আপত্তি নেই। রাজনীতিতে কেউ অস্পৃশ্য নয়। তবে একজোট হওয়ার জন্য তৃণমূলের সামনে শর্তও রাখেন তিনি। বলেন, বহু সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।