`মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী চাই`, একসুরে ফের সওয়াল জ্ঞানদাস মোহন্ত ও ইমামের
সম্প্রীতির পাঠ দিয়ে সুকৌশলে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী চাই।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে জোর গলায় ফের সওয়াল করলেন কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান পুরোহিত জ্ঞানদাস মোহন্ত। এদিন ফের রামমন্দির তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। বলেন, "মমতা প্রধানমন্ত্রী হলেই রামমন্দির তৈরি হবে।" তবে এদিন শুধু জ্ঞানদাস মোহন্ত নয়, একই সুরে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়ে সওয়াল করলেন স্থানীয় ইমাম মুফতি শেখও।
প্রসঙ্গত, বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে সওয়াল করেন মোহন্ত জ্ঞানদাস। মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়েই বলেন, "দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কল্যাণ হবে।" একইসঙ্গে রামমন্দির নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগও করেন জ্ঞানদাস মোহন্ত। সাংবাদিকদের জ্ঞানদাস মোহন্ত বলেন, ''ভোট এলেই বিজেপির মনে পড়ে রাম মন্দির। রামকে ওরা পোলিং এজেন্ট বানিয়ে ছেড়েছে''। তিনি তোপ দাগেন, বিজেপি ভোটের আগে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোট পেরলেই সব ভুলে যায়। দেশের সাধুসন্তরা রাম মন্দির চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে তবেই এটা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন, স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি, স্বামীর হাতে খুন পড়শি যুবক
উল্লেখ্য, রাম মন্দির আন্দোলনেই বিজেপির উত্থান। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ মোদী সরকারের জমানাতেও রাম মন্দির নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আরএসএস-ভিএইচপি। সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত স্পষ্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় আইন এনে রাম মন্দির করতে হবে সরকারকে। কিন্তু রাম মন্দিরের জন্য কোনও অধ্যাদেশ জারি করা হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
বিজেপি স্পষ্ট জানিয়েছে, আদালতের উপরেই ভরসা রয়েছে তাদের। ৪ জানুয়ারি ফের সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার শুনানি রয়েছে। রঞ্জন গগৈ প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে অযোধ্যা মামলা। দিন কয়েক আগে লখনৌয়ে রাজনাথ সিংয়ের সভাতেই উঠে গিয়েছিল রাম মন্দিরের দাবিতে স্লোগান। রাম মন্দির হবে বলে কোনওক্রমে মুখ বাঁচান রাজনাথ সিং।
আরও পড়ুন, সরকারি প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ নিয়ে তোলাবাজি, আক্রান্ত সুপারভাইজার
বুধবার কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিত যখন রামমন্দির নির্মাণের কথা তোলেন, তখন সম্প্রীতির বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচক্ষণ ব্যক্তিদের মতে, সম্প্রীতির পাঠ দিয়ে সুকৌশলে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।