নিজস্ব প্রতিবেদন: ওঝার তুকতাকে মরা মানুষকে জ্যান্ত করার চেষ্টা! যদি  দীর্ঘদিন পরও সাপে কাটা লখীন্দরকে বাঁচানো যায়, তবে কেন বাঁচবে না কুসুম?  ঠিক এই প্রশ্নেই আজকের এই ফোর জি যুগে  হাসপাতালের মর্গের সামনে স্টেচার থেকে মৃতদেহ নামিয়ে প্রাণ ফেরানোর মন্ত্র পড়ছে ওঝা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ধাবায় বসে রাতের খাবার খেতে গিয়েই ফাঁস হল আসল কুকীর্তি!


বড়ঞার হস্তিনাপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভরতপুরের মধুপুরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে গৃহবধূ কুসুম ঘোষ। রবিবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে হঠাৎ সাপে কামড়ায় তাকে। চিকিৎসকের বদলে কুসুম ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হয় অঝার কাছে। সেখানে ওঝার বানি- বিষ হয় নি, এই আশ্বাস পেলেও তারপর রাতে অসুস্থ বোধ করায় গৃহবধূকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতেই চিকিৎসা শুরু হতেই মৃত্যু হয় তার। সোমবার সকালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সব কাজ সারা, থিম তখন হিজলের হরিদেবমাটি থেকে মহিবুল সেখ তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে হাজির।


আরও পড়ুন: দিঘাতে আজ সকালে যে ভয়ানক ঘটনা ঘটল তা আগে কখনও ঘটেনি, হতবাক প্রশাসনও


কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গের সামনেই স্ট্রেচার থেকে নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে প্রান ফেরানোর কাজ। ওঝার সাফাই, মরা মানুষকে জ্যান্ত করতে শেষ চেষ্টা করেন। হাসি মুখে অকপটে এই বুজরুকির স্বীকার করেন।


কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গের সামনে বিশ্বাস আর অন্ধ বিশ্বাসের এই নজির বিহীন দৃশ্য দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছেন অন্যান্য রোগীর পরিবার।