নিজস্ব প্রতিবেদন:   ‘সুপ্রিম’ রায়ে পিটিটিআই মামলায় বড় জয় আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের। ৮০০ জনকে  দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের।  বৃহস্পতিবারের   ২০০৪, ২০০৫-এর পিটিটিআই সংশাপত্রকে বৈধতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালতের আরও নির্দেশ,দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষকের ৮০০ শূন্যপদে  ১২ সপ্তাহের  মধ্যে নিয়োগ করতে হবে মামলাকারীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত,  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ২০০১ নিয়ম অনুযায়ী,  সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদগুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করত। সেই আইন অনুযায়ী জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০০৬ সালে।  পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণহীনরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।   এই বছরই রাজ্যসরকার নতুন ভাবে ঘোষণা করে পিটিটিআই ট্রেনিং নেওয়া পড়ুয়াদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দারস্থ হন পড়ুয়ারা। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় পড়ুয়াদের শংসাপত্র বৈধ এবং তাঁদের অতিরিক্ত ২২ নম্বর দিতেই হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য।


আরও পড়ুন: সন্তান হলে বাড়বে সংসারের খরচ, অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি শ্বশুরের


মামলা চলাকালীন ২০১৫ সালে হঠাত্ করেই রাজ্য মামলা থেকে সরে আসে। ফলে তখন হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে।  হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির আবেদন করলে সেই আবাদন নাকচ করে দেয় রাজ্য।


আরও পড়ুন: স্টেশন মাস্টারের ভুলে মাঝের লাইনে ট্রেন, হাওড়া শাখায় রেল অবরোধ


এর প্রতিবাদে ফের হাইকোর্টের দারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানিয়ে দেন, অতিরিক্ত ২২ নম্বর দিয়ে তিন মাসের মধ্য চাকরি দিতেই হবে মামলাকারীদের।  ২০১৫ সালে সেই নির্দেশ অবশ্য খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফের শীর্ষ আদালতের দারস্থ হন পড়ুয়ারা। দীর্ঘ শুনানির পর সেই মামলায় জয় চাকরিপ্রার্থীদের। অবিলম্বে চাকরি দেওয়ার  নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।  মামলাকারী অমিতাব্রত রায় জানিয়েছেন, “ প্রায় ৮০০ পড়ুয়ার লড়াই আজ সফল হল।”