নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫ অগাস্ট ১৯৪৭। গোটা দেশ যখন স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে আত্মহারা। তখন চন্দননগরের ছবিটা ছিল অন্য রকম। চন্দননগরবাসীর কাছে সেই দিনটা একদিকে ছিল আনন্দের, অপরদিকে ছিল বেদনারও। কারণ ভারত স্বাধীন হলেও, চন্দননগর তখন ছিল ফরাসিদের অধীনে। তখনও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি চন্দননগরবাসী। কেউ কেউ গোপনে পতাকা উত্তোলন করলেও, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও বেদনায় ডুবে ছিল চন্দননগর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যায়, ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, স্বাধীনতার বীজ বপন হয় চন্দননগরে। চন্দননগরবাসীর বিদ্রোহের কথা বুঝতে পারেন ফরাসিরা। ফরাসিদের তরফে ভারত সরকারের কাছে চন্দননগরবাসীর বিদ্রোহের কথা জানানো হয়। মহাত্মা গান্ধী চন্দননগরের মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্রোহ জারি রাখে চন্দননগরবাসী। ১৯৫০ প্রথমবার চন্দননগর ত্যাগের কথা জানান ফারসিরা। এরপর ১৯৫২-র ১১ এপ্রিল চন্দননগর স্বাধীন হয়।


আরও পড়ুন: Ghatal: জলযন্ত্রণার মধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতল পড়ুয়ারা


আরও পড়ুন: Weather Today: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়, অতিভারী বর্ষণে ভাসবে উত্তরবঙ্গ


স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার পর, চন্দননগরের মেরির মাঠে কুচকাওয়াজ করেন চন্দননগরবাসী। এরপর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চন্দননগরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয় বসন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সেই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবিবার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে ফরাসিদের রেখে যাওয়া মহকুমা শাসক ভবনে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক অয়ন দত্ত গুপ্ত। আজও ফরাসিদের সঙ্গে ভারতীয়দের সম্পর্ক অটুট। কিন্তু চন্দননগরবাসীর কাছে আজকের দিনটা একটু হলেও বেদনাময়। স্বাধীনতার পীঠস্থান হয়েও পাঁচ বছর পর স্বাধীন হওয়ার।