Bhangor: আইএসএফের সমর্থনে জিতে তৃণমূলে ভাঙড়ের নির্দল প্রার্থী, বললেন ওদের নীতি ভালো
Bhangor: সুজন চক্রবর্তী বলেন, এরকম ঘটনা কোনও আশ্চর্যের ঘটনা নয়। মুখ্যমন্ত্রী যখন ঘোষণা করেন, বিরোধীদের ভোটে জিতিয়ে লাভ কী? জিতলেও তো আমাদের দিকে চলে আসবে।
প্রসেনজিত্ সরদার: ভোটে জিতেই শিবির ত্যাগ। ভাঙড়ে আইএসএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার হাতে থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন চালতাবেরিয়া অঞ্চলের নির্দল প্রার্থী সাদিকুল মোল্লা। ভোটে জিতেই কেন তৃণমূলে? সাদিকুল বললেন, তৃণমূলের নীতি ভালো।
আরও পড়ুন-পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিন সিংহরা, ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে বৃশ্চিকদের
কে এই সাদিকুল মোল্লা? ভোটে জেতার পরপরই তিনি অভিযোগ করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তার সার্টিফিকেট নিয়ে রেখে দিয়েছেন। সেই সাদিকুল এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে সাদিকুল মোল্লা বলেন, আইএসএফের সমর্থনে জিতেছিলাম। তারপর টিএমসিতে যোগ দিয়েছি। কারণ এদের নীতি আদর্শ ভালো। আগে আমি টিএমসিতেই ছিলাম। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে নির্দল হয়েছিলাম। ফের যে পার্টিতে ছিলাম সেখানেই ফিরে এলাম। দল বদলের জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। থানায় অভিযোগ করেছি যাতে আমার সার্টিফিকেট ফিরে পাওয়া যায়।
আইএএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর পুলিসে অভিযোগ নিয়ে গতকাল নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, আমি ওর সার্টিফিকেট নিয়েছি এই ধরনের কিছু কি বলেছে? এরকম যদি কোনও অভিযোগ করে থাকে তাহলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। কারও সার্টিফিকেট আটকে রাখিনি। তার পরেও বলব বিষয়টির সত্যতা জানাতে হবে। অঞ্চলে যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে বলতে পারব। সদিকুলকে সমর্থন দিয়েছিল আমাদের দল। উনি জয়লাভ করেছিলেন। সার্টিফিকেটের ব্যাপারে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আর কত অভিযোগ আমার নামে করবে?
তৃণমূলে যোগদান অনুষ্ঠানে সওকত মোল্লা সাদিকুল মোল্লাকে দেখিয়ে বলেন, এই যে ভাইকে দেখছেন তাঁর জয়ের সার্টিফিকেটটি নিয়ে রেখে দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। উনি গতকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন। আমি বলব নওশাদবাবুরা তো অনেক তাবিজ দেন ওই সার্টিফিকেটটা নিয়ে তাবিজ দিন। ওটার দরকার নেই। আগামী ৯ তারিখে উনি শপথ নেবেন। সাদিকুল যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে সদস্য সংখ্য়া হল ১৯।
এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এরকম ঘটনা কোনও আশ্চর্যের ঘটনা নয়। মুখ্যমন্ত্রী যখন ঘোষণা করেন, বিরোধীদের ভোটে জিতিয়ে লাভ কী? জিতলেও তো আমাদের দিকে চলে আসবে। এটা যখন কোনও মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয় তখন বুঝতে হবে মুখ্যমন্ত্রী একটা অগণতন্ত্রের স্পষ্ট নির্দেশ দিচ্ছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দশের পর পুলিস, তৃণমূলের বাহিনী লেগে পড়ল। তারপর কখনও ভয়ে দেখিয়ে, চাপ দিয়ে, হামলা করে, মামলা করে এসব হচ্ছে।