নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বার বার শিরোনামে উঠে আসে দিনহাটা। ভোটের ফল বেরতেই দেখা গেল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছাপ পড়েছে ব্যালট বাক্সেও। দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় হাসিল করেছেন নির্দল প্রার্থীরা। দিনহাটায় দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসকদল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এরমধ্যে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই জয়ী নির্দল প্রার্থীরা। বাকি ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও এগিয়ে নির্দল। অর্থাত্ ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি-ই দখলের পথে নির্দল প্রার্থীরা। এই 'নির্দল' প্রার্থীরা হলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। যাঁরা মূলত যুব তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য।


আরও পড়ুন, বাঁকুড়ায় ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত জয় বিজেপির, খাতা খুলছে উত্তর দিনাজপুরেও


প্রসঙ্গত, বাম আমল থেকেই দিনহাটা কমল গুহর গড় হিসেবে পরিচিত। কমল গুহের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে উদয়ন গুহর গড় হিসেবে পরিচিতি পায় দিনহাটা। কিন্তু ২০১৬ বিধানসভা ভোটের আগে শিবির বদলে বাম থেকে ঘাসফুলে চলে আসেন উদয়ন গুহ। বিধানসভা ভোটে টিকিটও পান তিনি। উল্লেখ্য, সেইসময় থেকেই দিনহাটায় শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়।


দিনে দিনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও দিনহাটায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে চরমে পৌঁছয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখানে লড়াইটা মূলত যুব তৃণমূলের সঙ্গে মূল তৃণমূলের। অভিযোগ, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ছিল এরকম অনেককে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। এরপরই যুব তৃণমূলরা 'নির্দল' হিসেবে পৌঁছে যায় মানুষের কাছে। 'নির্দল' হিসেবেই প্রচার চালায় তাঁরা। ফল বেরতে দেখা গেল, দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে জয় হাসিল করে নিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলরাই।


আরও পড়ুন, 'বাঘ' মারল বিজেপি!


অন্যদিকে, ভোটের দিনের পর এদিনও মেজাজ হারালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভোটের দিন নাটাবাড়িতে এক বিজেপি এজেন্টের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার সময়, তাঁকে সপাটে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর মেজাজ হারানোর নেপথ্যে অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলদের জয়কেই কারণ হিসেবে দেখছেন। দেখুন, সেই ভিডিও-