নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা ভাগ হয়েছে। তবে বাঙালিকে ভাগ করা যাবে না। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশরা মিলিয়ে গিয়েছেন ওপার-ওপারকে। এবার ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে দুই বাংলা। পেট্রাপোল সীমান্তে যৌথভাবে ভাষা দিবস উদযাপন করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ। ওইদিনই আয়োজন করা হয়েছে রক্তদান শিবির। সেখানে রক্ত দেবে দুই বাংলা। পেট্রাপোল শিবিরে রক্ত দেবেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। 'নো ম্যানস ল্যান্ড' পেরিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে গিয়ে রক্ত দেবেন ভারতীয়রা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের বেনাপোলে একটি মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠানেরও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে অংশ নেবেন দুই বাংলার শিল্পীরা। ভারতীয় শিল্পীদের ৭৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল  থাকবেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ থেকে ৭৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসবে ভারতের অনুষ্ঠানে। 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এ থাকবে ভাষা শহিদবেদী। সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন দু'দেশের মানুষ।  শুক্রবার পেট্রাপোলে বিএসএফের কনফারেন্স হলে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। সেখানেই নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত।


এদিন বাংলাদেশের যশোর- ১ এর সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আসে পেট্রাপোলে। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধি দলও উপস্থিত ছিল বৈঠকে। এছাড়াও বিএসএফ, বনগাঁ পুলিস, জেলার প্রশাসনিক কর্তারাও ছিলেন। যশোর ১-এর সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন বলেন, “ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় ও মিলনমেলায় পরিণত করা যায়, সে জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেন। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। মানুষের আবেগ উপচে পড়বে অনুষ্ঠানে।''


বনগাঁ পৌরসভার  পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর কথায়,''এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে দুই দেশের মানুষের আবেগ। তাই বাংলাদেশ ও ভারত দুটি আলাদা অনুষ্ঠান করবে। আমরাও ওপার বাংলায় যাব। বাংলাদেশের অতিথিরা আসবেন এপারে।''


আরও পড়ুন- 'মেট্রোতেও তোমাকেই চাই',ইস্ট-ওয়েস্টের প্রথম দিনে ভালোবাসাবাসি