নিজস্ব প্রতিদেবন : একরত্তি মেয়েটার বয়স সবে ৬ মাস। মুখে ভাত উপলক্ষে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আমন্ত্রিতরা। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের পানুয়া গ্রামের এই বাড়িতে অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানটা একটু অন্যরকম। আমন্ত্রিতরা এখানে কেউ ভূরিভোজ খেতে আসেননি। তেমন কোনও ভূরিভোজের আয়োজনই যে করেননি ছোট্ট আরশির বাবা। আমন্ত্রিতরা সবাই এসেছেন গাছ নিতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চমকে গেলেন নিশ্চয়? অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে গাছের সম্পর্কটা কোথায়? চমক সেখানেই। ছোট্ট আরশির অন্নপ্রাশন উপলক্ষে আমন্ত্রিতদের প্রত্যেককে একটি করে গাছ উপহার দেন পানুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু আজাদ। প্রায় ২০০ জন আমন্ত্রিতের হাতে একটি করে চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়। মেহগিনি, ইউক্যালিপ্টাস, কৃষ্ণচূড়া, পেয়ারা প্রভৃতি বিভিন্ন গাছের চারা-ই মেয়ের অন্নপ্রাশনে উপহার হিসেবে দেন আজাদ।


আজাদ জানিয়েছেন, মেয়ের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে তিনি চেয়েছিলেন সমাজ সচেতনতামূলক কোনও কাজে অংশ নিতে। এখন গাছ পরিবেশের বন্ধু। মানুষের বন্ধু। সেকারণেই আমন্ত্রিতদের গাছ উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী আবু।


আরও পড়ুন, বর্ধমান থেকে ১১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ২১ জুলাইয়ের সভায়


দুবরাজদিঘি পূর্ব পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতেই গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৬ মাসের আরশির হাত দিয়েই আমন্ত্রিতদের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হয়। আকাশি জামা পরে, মাথায় আকাশি রঙের ব্যান্ড বেঁধে ছোট্ট আরশিকে হাসিমুখেই অন্নপ্রাশনের এই অভিনব অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায়। আরশির হাত ধরেই শহরে আরও গাছ বাড়বে বলে আশা গর্বিত বাবা আবু আজাদের।