ওয়েব ডেস্ক: ডিভিসি এখন ফ্লাড ম্যানেজমেন্টে নেই। বরং বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন নিয়ে ব্যস্ত। তাই রাজ্য ভাসলেও তাদের কোনও হেলদোল নেই। বিধানসভায় বন্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। বাংলার বন্যা কেন ম্যান মেড বন্যা, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফি বছর ডিভিসি ভাসিয়ে দিচ্ছে রাজ্যকে। পরিকল্পনা করে জল না ছাড়ার খেসারত গুণছে বাংলা। গোড়া থেকেই এমন অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসির জন্য বাংলা কেন এবং কীভাবে ভাসছে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তার ব্যাখ্যা দিলেন সেচমন্ত্রী। রাজীব ব্যানার্জির প্রথম অভিযোগ, ফোকাস এরিয়া থেকে সরে গিয়েছে ডিভিসি।


ডিভিসি তৈরি হয়েছিল দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য। দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওপরের দিকে ঝাড়খণ্ড। তাই বৃষ্টি বেশি হলেই ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ে ডিভিসি। সেই জল চলে আসে পাঞ্চেত জলাধারে। পাঞ্চেতের ছাড়া জল দামোদর নদ হয়ে পৌঁছে যায় দুর্গাপুর ব্যারেজে। তেনুঘাটের চাপ পাঞ্চেত হয়ে দুর্গাপুরে আসতে থাকায়, প্লাবিত হয় নিম্ন দামোদর অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা।


তেনুঘাটে জল ধরে রাখার গাইড কার্ভ ৮২২ ফুট। সেচমন্ত্রীর দাবি, জুলাই মাসে তেনুঘাটে জল ধরে রাখা হয়েছিল ৮৩৮ ফুট। ডিভিসির জন্য রাজ্য কীভাবে ভুগছে, তা বলতে গিয়ে আরও পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন সেচমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ডিভিসির মোট ৭টা ড্যাম করার কথা ছিল। ৪টের বেশি ড্যাম তারা করে উঠতে পারেনি। ৪টি ড্যামের মোট জলধারণ ক্ষমতা ২৯ লক্ষ একর ফুট। ডিভিসি ব্যবহার করছে ১৫ লক্ষ একর ফুট। ডিভিসির এলাকায় জবর দখলের কারণে জল ধারণের পরিমাণ কমে হয়েছে ১০.৪৬ লক্ষ একর ফুট। এর ওপর রয়েছে পলি সমস্যা। জলাধারে ২৫% পলি পড়ে তা কমে হয়েছে ৬.৬ লক্ষ একর ফুট। সেচমন্ত্রীর দাবি, বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদনের স্বার্থ না দেখে যদি ঠিক সময়ে জল ছাড়া হত, তাহলে পরিস্থিতি এতটা ভয়ঙ্কর হোত না।