ওয়েব ডেস্ক: জনপ্রিয় ইংরাজি দৈনিকের সওয়াল জবাবের সামনে খোলামেলা আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোট থেকে ২০১৯ নির্বাচন, দার্জিলিং ইস্যু থেকে মুসলিম তোষণের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন নিজের মনের কথা।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রশ্ন- বিরোধী জোট থেকে নীতিশ কুমারের বেরিয়ে যাওয়াকে কীভাবে দেখছেন? 
মুখ্যমন্ত্রী- এখানে অনেকেই আছেন যারা আগেও বিরোধী জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। বাম-ডান সবাই এখানে আছে। এটা রাজনীতিরই একটা অঙ্গ। আমি এই বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। শারদ যাদব বিরোধী জোটে আছেন। সুতরাং আমরা এটা বলতে পারি না, সবাই ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।  



প্রশ্ন- মোদী সরকার এবং তার ভূমিকা নিয়ে কী বলবেন?
মুখ্যমন্ত্রী- মানুষ ভয় পাচ্ছেন। একটা ভীতি তাদের মধ্যে সর্বক্ষণ কাজ করছে। শিল্পপতিরা নিজের মতামত জানাতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছেন। তবে আমি কখনই মনে করি না, এই ভয় দেখিয়ে বেশি দিন পর্যন্ত টিকে থাকা যাবে। কেউ কিছু বললেই আইটি রেড, সিবিআই! বিরোধীরা এই স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে লড়ছে। 



প্রশ্ন- কংগ্রেসের সাহায্য কি আলাদা করে অক্সিজেন দেবে তৃণমূলকে?
মুখ্যমন্ত্রী- না, আমার মনে হয় এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করবে। জাতীয় স্তরে সবকটি আঞ্চলিক দলই একে অপরকে সাহায্য করবে। কংগ্রেসও করবে। আমরা চাই সব আঞ্চলিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুক। একটা গঠনমূলক পরিবারের মতই সবার কাজ করা উচিত বলে মনে করি আমি। 



প্রশ্ন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন?
মুখ্যমন্ত্রী- এটা এখন ভাবার বিষয়ই নয় কে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে। প্রথমেই যেটা করতে হবে, লড়াইটা জিততে হবে। তারপর তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়। সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তখন। যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে আমরা তাদের সাহয্য করব। যেখানে আঞ্চলিক দল বেশি ক্ষমতাশালী সেখানে কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলোকে সাহায্য করবে। এটাই নীতি হওয়া উচিত। আর এটা হলে ২০১৯-ই বিজেপি'র ফেয়ারওয়েল হতে পারে।



প্রশ্ন- অগ্নিগর্ভ দার্জিলিংকে কীভাবে শান্ত করবেন?
মুখ্যমন্ত্রী- আমি সবসময়ই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে আমার মত জানিয়ে এসেছি। রাজনাথ জি এই বিষয়ে খুবই সহানুভূতিশীল। আমার সঙ্গে তার অনেকবারই কথা হয়েছে। সৌভাগ্যবশত দার্জিলিং আমার রাজ্যের একটা অংশ। তবে দার্জিলিংই গোটা রাজ্য নয়। একটা অংশ মাত্র। ৫ বছর ওরা জিটিএ চালাচ্ছে। এবার দরজায় ভোটের কড়া নাড়তেই ওরা আবার গোলমাল পাকাচ্ছে। ওদের জনপ্রিয়তা কমেছে। বিগত ভোটেও ওরা (মোর্চা) হেরেছে। আমি তো সবসময়ই আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি। আসুক। কথা বলুক। মিটিয়ে নিক। 



প্রশ্ন- আপনার বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ আনছে বিজেপি, কী বলবেন? 
মুখ্যমন্ত্রী- ওরা (বিজেপি) চায় মানুষ বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন না তুলুক! ওরা চায়নি রুটি-রুজি নিয়ে কেউ কথা বলুক! মানুষ ত্রাণ নিয়ে কথা বলবে না! মানুষ সামাজিক ন্যায় নিয়ে কথা বলবে না! ওদের একটাই মন্ত্র- দাঙ্গা, দাঙ্গা, দাঙ্গা। হিন্দু, মুসলিম করে একটা সাম্প্রদায়িক ভীতি তৈরি করে রাখার চেষ্টা করছে।