নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়া মোড়। পর পর খুন! এবং একই পদ্ধতিতে। তা দেখে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে অভিযুক্ত কি তবে একজন 'সাইকো কিলার'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রে ডিসিপি ইস্ট ওয়ান জয় টুডু সাংবাদিক বৈঠকে জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে অঙ্কিতা মাহালি নামে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছিল বয়স ১৯। অঙ্কিতা মাহালির মা তখন অঙ্কিতার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্কিতার স্বামীকে আটক করে মাটিগাড়া থানার পুলিস। ধৃত অঙ্কিতার স্বামী সুমন খারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবশ্য তেমন কোনও তথ্যই উঠে না আসে না পুলিসের হাতে। তখন অঙ্কিতার ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে পুলিস। আর তখনই অনুসন্ধানের নতুন পথ খুলে যায়। মহম্মদ আখতার হোসেন নামের এক ব্যক্তির হদিস মেলে সেই ফোন থেকে। দেখা যায়, এই মহম্মদ আখতার হোসেনের সঙ্গে রীতিমতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল অঙ্কিতার। সেই সূত্র ধরেই পুলিস আখতার হোসেনের খোঁজ করতে শুরু করে এবং অবশেষে পুলিসের নাগালে আসে আখতার।


আরও পড়ুন: Bardhaman:আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই ২ নেতা-সহ ৩


এরপর আখতার হোসেনকে জেরা করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।  জানা যায়, শুধু অঙ্কিতা মাহালিই নয়, একই ভাবে সূচনা মণ্ডল নামেও একটি মেয়েকে খুন করেছিল আখতার। একের পর এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকত সে। আর তার পরেই শারীরিক সম্পর্কের সময়ে তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। সূচনা ও অঙ্কিতাকে একই পদ্ধতিতে খুন করে আখতার। আনুষঙ্গিক সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ ও খুনের ধরন দেখে এটাকে এক ধরনের সাইকো কিলিংয়ের নমুনা বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে।


খুলে যাচ্ছে অন্য রহস্যও। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে আখতার স্বীকার করে, দুটো খুন করার সময়েই সে মাদকাসক্ত ছিল। নিয়মিত মাদক নিত সে। 


পরে আখতার হোসেনের চিহ্নিত জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খুড়ে চার মাস আগের প্রেমিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে মাটিগাড়া থানার পুলিস। ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোও হয় দেহ। গোটা ঘটনার তদন্তে রয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Siliguri: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন, চার মাস পরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার মৃতদেহ