নিজস্ব প্রতিবেদন: মা শয্যাশায়ী। বাড়িতে হাজারো সমস্যা। সে সব সামলে-গুছিয়ে চলার জন্যই বাড়ির কাছাকাছি কোনও একটা স্কুলে শিক্ষকতা  করতে চেয়েছিলেন  তৌরাঙ্গ মল্লিক। ভাগ্যক্রমে তেমনটা হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু যে দিনটা চাকরি জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন হওয়ার কথা ছিল, সেই প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাই এখন ঘুম উড়িয়েছে তৌরাঙ্গের। সাধের সেই চাকরিই এখন মস্ত বিড়ম্বনা! ইসলামপুরের দাঁড়িভিট স্কুলে সংস্কৃত শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোচবিহারের বাড়িতে জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির মুখোমুখি বসলেন দাড়িভিটের সংস্কৃত শিক্ষক তৌরাঙ্গ মল্লিক। কী হয়েছিল সেদিন? এরপর কী করবেন? সেদিনের কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে  উঠছেন শিক্ষক। করজোড়ে প্রার্থনা করছেন, অন্য কোথাও নিয়োগ করা হোক তাঁকে। তৌরাঙ্গ মল্লিক বলেন,'২০ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলাম। যোগদানের পর বিক্ষোভ শুরু করে দেন ছাত্রছাত্রীরা। ভূগোল, বিজ্ঞানের শিক্ষক নেই বলে তাঁরা দাবি করছিল। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল পড়ুয়ারা। বাড়ি থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল। তাই ওই স্কুলটি সুবিধাজনক ছিল। আমার বাড়িতে বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে''।     


বিক্ষোভ, বোমা, গুলি, দুই কিশোরের অকালমৃত্যু। এখনও ভয়ে, আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছেন তৌরাঙ্গ! চাকরির জীবনের প্রথম দিন, যা-যা দেখতে হল, তা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি। বলেন, আমার প্রতিনিয়ত ভয় রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাকে ওই জায়গায় আর রাখবেন না।  


কিছু না-জেনেই বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে থাকতে হয়েছে। এখন  বলছেন, যা-ই হয়ে যাক, দাঁড়িভিট স্কুলে আর ভুলেও পা রাখবেন না।


আরও পড়ুন- Exclusive:বাংলা শিক্ষকের বিরোধিতা করছে না, উর্দু শিক্ষক গেলে যোগ দিতে দেবে না: মমতা