নিজস্ব প্রতিবেদন : শীত এখনও আসেনি। তবে এই বছরের মতো দেশ থেকে বিদায় নিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ভারতে। উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর ফলে বৃষ্টি হচ্ছে কর্ণাটক ও কেরলে। এদিকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাংলায় উপকূলবর্তী জেলাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সকাল থেকে আকাশ পরিস্কার থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্যান্য রাজ্যেও। আগামী ২ দিনে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যের এই জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ স্থানেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 


আরও পড়ুন: আসানসোলে প্রশাসনের ধূমপান নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর সচেতনতা বাড়লেও, বেনিয়ম চলছেই


কলকাতায় এদিন সকাল থেকে রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ থাকবে। তবে, দুপুরের দিক থেকে আকাশ আংশিক মেঘলা হতে পারে। বিকেলের দিকে শহরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকছে। বুধবার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬২ থেকে ৯৬ শতাংশ। 


উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু ছাড়াও দক্ষিণ কর্নাটকের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে যার থেকে একটি অক্ষরেখা শ্রীলংকা পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর তামিলনাড়ু উপকূল থেকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরো একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে এই মুহূর্তে কোনও ঘুর্ণাবর্ত নেই।