মাধ্যমিকের পর উচ্চ-মাধ্যমিকেও জেলার জয়জয়কার। এবার উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি । তবে ফলাফলের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা গেছে মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন ৪ জন , ৪৯৮ পেয়েছেন ৯ জন এবং ৪৯৭ পেয়েছেন ১৫ জন । এইসব কৃতী ছাত্রদের একটা কমন বক্তব্য সব পরীক্ষা দিতে পারলে ভাল লাগত। এইরকম তিনজন কৃতী ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেছে জি ২৪ ঘন্টা –


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঐক্য ব্যানার্জি ( প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯ )


ঐক্য ব্যানার্জি। বাড়ি চুঁচুড়ার শন্ডেশ্বর তলায় । হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ।ইংরেজি আর অঙ্ক ভালো হওয়াতে ঐক্যের আশা ছিল ভালো ফল করবে । কিন্তু এটা আশাতীত ফলাফল ।দুটো পরীক্ষা দিতে পারে নি । যদি সব পরীক্ষা দিয়ে আজকের দিনটা আসত তাহলে আরও বেশি খুশি হতো ঐক্য ।তবে বাবা-মায়ের আশাপূরণ করতে পেরে খুশি সে।
ছোট থেকেই কেরিয়ারিস্টিক ঐক্য । ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের KBPI-তে ২৮০ RANK  করে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন । সেই RANK-র ভিত্তিতে Indian Institute of Science Education & Research  ভর্তির আবেদন করেছেন । আর আশা সুযোগ পাবে ।ইন্ডিয়ান জার্নাল অব অ্যাপলায়েড রিসার্চ-এ পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করা ওর ইচ্ছা । খুব চাপ নিয়ে কোনদিনই পড়াশোনা করেনি । তবে যখন করত তার মধ্যেই ডুবে থাকত । পড়াশোনা ছাড়া ছবি আঁকা,ডিবেট এবং কুইজ ফেবারিট । সবকিছুতেই প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে সেরার শিরোপা নিয়ে এসেছেন । এক কথায় সবকিছুতেই সেরা ঐক্য ব্যানার্জি ।


জয় মন্ডল (প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮) 


জয় মন্ডল । বাড়ি রায়গঞ্জের হাইরোড কালীতলায় । রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র  বাবা জ্যোতির্ময় মন্ডল রায়গঞ্জ স্পিনিং মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী । তাই জয়কে লক্ষ্যে পৌছতে জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছে । ফলাফলে খুশি জয় ।তাঁর আত্মবিশ্বাস সব পরীক্ষা হয়ে মেধা তালিকা প্রকাশ হলে সেই তালিকায় তাঁর নাম থাকত । জীবনের চলার পথে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী । এটা কখনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি । তাই জয় মনে করে মন দিয়ে পড়াশোনা করলে যেকোনও পরিবেশ থেকেই ভালো ফলাফল করা যায় । কঠিন বাস্তবকে শৈশব থেকে মোকাবিলা করায়  ছোটবেলা থেকেই জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়ার । অবসর সময় সিনেমা দেখে বই পড়ে সময় কাটাতে ভালোবাসে জয় মন্ডল । 


স্মরজিত ধর ( প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭) 


স্মরজিত ধর । চুঁচুড়া দেশবন্ধু বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র । বাবা থেকেও নেই । ছোটবেলা থেকেই মামাবাড়িতে মানুষ ।মা স্বাতী দত্ত পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ।ছেলেকে ছোটবেলা থেকে কঠিন পরিশ্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন । তাই  ছোটবেলা থেকেই স্মরজিত উপলব্ধি করেছিলেন জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে । ফলাফলে খুশি স্মরজিত । কিন্তু সব পরীক্ষা দিয়ে যদি এই ফলাফল হত আরও বেশি আনন্দ হত বলে দাবি স্মরজিতের । পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান স্মরজিত । কোনদিনই নিয়ম বেঁধে পড়াশোনা করেনি ।তাঁর ইচ্ছা ইসরোর হয়ে কাজ করা।


এবার উচ্চমাধ্যমিকে রেকর্ড পাসের হার  পাস করেছে ৯০.১২ শতাংশ  আর করোনার থাবায় প্রকাশ হল না মেধা তালিকা