নিজস্ব প্রতিবেদন- দিনকয়েক আগে কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্যে কুকথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁথি মূলত অধিকারীদের গড় বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। সেই কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) বলেছিলেন,  'আয় তোর বাপকে গিয়ে বল, বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যা করার কর। আয় হিম্মত আছে!' এর পর 'বাংলার সংস্কৃতি' তুলে অভিষেককে খোঁচা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেকের সেই মন্তব্যের রাজনৈতিক অভিঘাত যে বেশ জোরালো হবে তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। হলও তাই। তারাপীঠে BJP-র রথযাত্রার সূচনা করতে গিয়ে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন JP Nadda বলেছেন, ''শুভেন্দু অধিকারীর বাবাকে নিয়ে কুকথা বলেছিল ভাইপো। সস্তায় ক্ষমতা পেয়েছে তো। তাই মস্তি করছে। কাঁথির সভা থেকে ভাইপো যা কথা বলেছে তা তো আমি মুখেও আনতে পারছি না। আমার নামের সঙ্গেও বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুই-তোকারি করতেও ছাড়ছে না। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি! তৃণমূল তো বাংলার সংস্কৃতি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ওরা বলছে আমরা বহিরাগত সংস্কৃতি আমদানি করেছি। আমি বলছি, আমরা বাংলার হারানো সংস্কৃতি ফিরিয়ে দেব। এই বাংলা নেতাজির, এই বাংলা রবীন্দ্রনাথের, এই বাংলা ঋষি অরবিন্দের। সেই সংস্কৃতি এখন হারিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল বলে, মা, মাটি, মানুষের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের সম্মান করে না। মাটিকে ভালবাসে না।''


আরও পড়ুন- তৃণমূলে হুমায়ুন কবীর, প্রার্থী হচ্ছেন ভোটে; ক্ষমতায় এসে জবাব দেব : লকেট


এদিন জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী  বাংলায় কখনও খালি হাতে আসেন না। বাংলা তাঁর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ৬৭৫ কিমি হাইওয়ে হবে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলার কথা ভাবেন। বাংলার চা বাগানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা কিন্তু মুখের কথা নয়। চা বাগানের শ্রমিকদের বিকাশের কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার ২০ লাখ লোকের ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার আপনারাই ঠিক করুন বাংলায় আসল পরিবর্তন চাইছেন কি না! মমতা দিদির আমলে বাংলায় শুধু কাটমানির রাজনীতি হয়েছে। আম্ফানে দুর্গতদের জন্য ২৭০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সব টাকা খেয়ে ফেলেছে তৃণমূলের নেতারা। গরীব মানুষের চাল চুরি করে নিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। আয়ুস্মান ভারত থেকে বাংলা মানুষ বঞ্চিত। এখানকার কৃষকদের দুরাবস্থা আমি চোখে দেখতে পারিনি। বাংলার কৃষকরা প্রত্যেকে ১৮ হাজার টাকা পাবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।''