Jago Bangla | CV Ananda Bose: `রাজ্যপাল আরএসএস ঘনিষ্ঠ`, জাগোবাংলায় শাসক দলের আক্রমণের মুখে বিজেপি-কংগ্রেস
তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে সোমবার লেখা হয়েছে, ‘ভোটের প্রচারপর্ব শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে রাজভবন থেকে বাংলার রাজ্যপাল যে বক্তব্য বৃহস্পতিবার রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে রাজভবনের নাম এবং মর্যাদার সঙ্গে সমানুপাতিক নয়।‘
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যপালের পদকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা নিয়ে এবার শুধু বিজেপি নয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হলো জাগো বাংলাতে। বলা হল যে যখন কেন্দ্রে এসেছে সেই রাজ্যপালের পদকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও এরকম উদাহরণ আছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে। পাশাপাশি বর্তমান রাজ্যপালকে আরএসএস ঘনিষ্ঠ বলা হয়েছে এবং রাজভবন ছেড়ে তাকে রাজনীতির ময়দানে নামার কথাও বলা হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে সোমবার লেখা হয়েছে, ‘ভোটের প্রচারপর্ব শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে রাজভবন থেকে বাংলার রাজ্যপাল যে বক্তব্য বৃহস্পতিবার রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে রাজভবনের নাম এবং মর্যাদার সঙ্গে সমানুপাতিক নয়।‘
আরও পড়ুন: WB Panchayat election 2023: অবশেষে এল কমিশনের তালিকা, জেনে নিন কোন জেলায় কত বুথ স্পর্শকাতর
বিজেপি-র পাশপাশি কংগ্রেসকে নিশানা করে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক – এই কথাটি বহু ব্যবহারে জীর্ণ। তার কারণ, কেন্দ্রের সরকারে যে যখন এসেছে সে তখন রাজ্যপাল পদটিকে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক স্বার্থে। কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনকালে এই ধরনের মনীমাণিক্য বহু ছড়িয়ে রয়েছে’।
পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি বিগত ১০ বছরে কংগ্রেসকে যেন বলছে, আমরা কিসে কম’?
পাশপাশি রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা করে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যপালের কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে। তাঁর দায়িত্ব মন্ত্রিসভাকে তা জানানো। তিনি নিজের ইচ্ছায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অথচ সেই কাজটিই ভোটের মুখে নির্লজ্জভাবে করে চলেছেন প্রাক্তন এই আইএএস অফিসার’।
সেখানে আরও লেখা হয়েছে, যারা সামান্য খবরাখবর রাখেন তাঁরা জানেন তিনি আরএসএস ঘনিষ্ঠ। এবং বিজেপির এজেন্ডাই যে পরিপূর্ণ করতে এসেছেন সেটা পরিষ্কার’।
এর অ্যাগেও রাজ্যপালের সঙ্গে শাসকদলের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে বিভিন্ন সময়ে। শুক্রবার রাজ্যপাল গিয়েছে মুর্শিদাবাদ। তাঁর এই সফর ঘিরেই চরমে উঠেছে সংঘাত। কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ত্রিওমুল। আর এরপরেই সেই সফরের দিনেই রাজ্যপাল সহ অন্যান্য বিরোধী দলকে একজোগে আক্রমণ শানানো হয়েছে দলের মুখপত্রে।