নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘খুচরো নিতে অপারগ,' এই মর্মে নোটিস টাঙালো ব্যাঙ্ক! এবার কী করবেন গ্রাহকরা? অতঃপর পকেট ভর্তি খুচরো নিয়ে পুলিসের দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিন আগের কথা, যখন খুচরো পয়সার জন্য রীতিমতো কান্নাকাটির অবস্থা ছিল আম জনতার! রাস্তায় বেরোলেই খুচরোর আকালে বচসা রোজনামচা হয়ে উঠেছিল। বাসে-অটোয় কিংবা নিতান্তই সবজির দোকানে, খুচরো নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড রোজই ভেসে উঠত সংবাদ শিরোনামে। খুচরো পয়সা নেই বলে ভাড়া মেটানোর সময় চালকের ঘুষিতে নাক-মুখ থেঁতো হয়েছে, এমন ঘটনাও নতুন নয়।


আরও পড়ুন: নদিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি পণের জন্যই খুন


কিন্তু গত কয়েকমাসে পুরো ভোলবদল। এখন খুচরো পয়সা দেখলেই তেড়ে আসছেন দোকানদার। মারমুখো হচ্ছেন অটোওয়ালা। খুচরোর ভারে মানিব্যাগ বা ওয়ালেটের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে। অভিযোগ রয়েছে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও। ব্যাঙ্কও নাকি খুচরো পয়সা নিতে চাইছে না। এমনকি ‘খুচরো নিতে অপারগ’এই মর্মে জলপাইগুড়ির একটি ব্যাঙ্কে নোটিসও পড়েছে। প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ।


অভিযোগ, ব্যাঙ্ক খুচরো নিতে অস্বীকার করছে। মহাজনরাও খুচরো নিচ্ছেন না। একই অবস্থা গ্রাহকদেরও। খুচরো পয়সা রোলিং না হওয়ায় ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে এবিষয়ে আবেদন করলে, তারা নোটিস টানিয়ে খুচরো না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। এরপরই থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা।


আরও পড়ুন: সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের? আদিবাসী ‌যুবককে গলা কেটে খুন


রিজার্ভ ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যাংকগুলিকে খুচরো পয়সা নিতে হবে গ্রাহকদের থেকে। কিন্তু তারপরও এই অবস্থা কেন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসায়ীদের তরফে এহেন অভিযোগ পাওয়ার পর জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাঁরা খুচরো নিতে অস্বীকার করছেন, অভিযোগ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।