ওয়েব ডেস্ক: জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে জেরার মুখে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী। গত ১০ জানুয়ারি তাঁকে জেরা করেন সিআইডির গোয়েন্দারা। সোমবার ইন্দৌর পুলিসের তরফে এই তথ্য মিলেছে। মূলত ইন্দৌরের বাসিন্দা বিজয়বর্গীয়।
ইন্দৌরের অতিরিক্ত পুলিস মহানির্দেশকের দফতরের কনফারেন্স রুমে বিজয়বর্গীয়কে জেরা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সোমবার এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন এডিজি স্বয়ং। 
তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ডিএসপির নেতৃত্বে গোয়েন্দাদের একটি দল আদালতের আদেশের ভিত্তিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জেরা করতে চাইলে নিজের দফতরের কনফারেন্স রুম বরাদ্দ করেন তিনি। তবে জেরায় কী কথা হয়েছে সেব্যাপারে তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন এডিজি। 


আরও পড়ুন - লাল ঝান্ডার জয়, কৃষকদের দাবি মানল মহারাষ্ট্র সরকার
গত বছর জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে নাম জড়ায় বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় বিদেশে শিশু পাচারে সাহায্য করেছেন বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। 
জলপাইগুড়ি শিশুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরী। ওদিকে বিজয়বর্গীর দফতর থেকে জারি প্রেস বার্তায় জানানো হয়েছে, বিজয়বর্গীয়কে 'সাধারণ কিছু কথা' জিজ্ঞাসা করেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। 
বিজয়বর্গীয়র তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়েছে, শিশুপাচারের সঙ্গে জড়িত কারও সঙ্গে কোনও যোগ নেই বিজেপি নেতার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জেরা করেছে সিআইডি।