Jalpaiguri: `আমি চাকরি না দিলে তোমরা বার ডান্সার হতে`, অধ্যাপিকাদের হুমকি অধ্য়ক্ষের
`মহিলাদের জন্য আলাদা কোনও ঘর নেই। উনি কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরে ঘরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগিয়েছেন।`
প্রদ্যুৎ দাস: 'আমি চাকরি না দিলে তোমরা বার ডান্সার হতে'। অধ্যাপিকাদের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য অধ্যক্ষের! আর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তাল জলপাইগুড়ি শহরের আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্স।
জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের অধ্যাপিকাদের বিরুদ্ধে ওই কলেজেরই অধ্যক্ষের এমন কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কলেজের অন্যান্য অধ্যাপক সহ কর্মীদের একাংশ। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, কলেজের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ ড.সিদ্ধার্থ সরকার। কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপিকা মৌমিতা সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, "আমরা ওয়েবকুপা সংগঠন করতে চেয়েছিলাম। অধ্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলেজে কোনও সংগঠন করা যাবে না। কোনও সংগঠনকে তিনি মানেন না। শুধু তাই নয়, অধ্যক্ষ মাস কয়েক আগে সব অধ্যাপিকাকে বলেছেন আমি তোমাদের এই কলেজে চাকরি দিয়েছি। আমি চাকরি না দিলে তোমরা বারে গিয়ে ডান্স করতে। তাই আমার কথা শুনে চলতে হবে। আমাদের মহিলাদের জন্য আলাদা কোনও ঘর নেই। উনি কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরে ঘরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগিয়েছেন।"
কমার্সের অধ্যাপক সব্যসাচী বোস অভিযোগ করেন, "কলেজে কোনও কাজের পরিবেশই নেই। আমরা মানসিক অশান্তির মধ্যে থাকছি। আমরা কী করে পড়ুয়াদের পড়াব! রাতেরবেলা একজন অধ্যাপিকাকে ফোন করে অধ্যক্ষ হুমকি দেন। চাকরি থেকে বার করে দেবে বলে শাসান।" কলেজের অতিথি অধ্যাপক বাবাই মালো দাস বলেন, "কলেজের এক ক্যাজুয়াল স্টাফকে কোনও নোটিস ছাড়াই কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আমরা অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কলেজের কর্মীরা সরব হয়েছিলাম। অধ্যক্ষের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ তার জবাব দেননি। উল্টে সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে আমাকে ফোন করে অধ্যক্ষ হুমকি দেন। যার জন্য আমরা মানসিকভাবে ভীত।"
কলেজের আরেক অধ্যাপক দেবাশিষ সিনহা মহাপাত্র অভিযোগ করেন, "উনি স্বেচ্ছাচারী। ওনার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই, উনি তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রদের লেলিয়ে দেন। মহিলাদের রুমে উনি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন নজরদারি চালাবেন বলে। আমি একজন দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী। উনি আমাকে রাস্তায় বাইকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।" প্রভৃতি একাধিক অভিযোগে অধ্যক্ষ ড.সিদ্ধার্থ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন কলেজের অধ্যাপক- অধ্যাপিকা থেকে কর্মীরা। যদিও অধ্যক্ষ ড.সিদ্ধার্থ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, "যে ধরনের অভিযোগ আমার উপর করা হচ্ছে, তা মিথ্যা।" পাল্টা সকল 'মিথ্যা' অভিযোগের প্রমাণ আছে কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri: সেঞ্চুরি করে 'আউট' ঠাকুমা, ডিজে-ব্যান্ড বাজিয়ে 'সেলিব্রেশন'! নাচতে নাচতে শ্মশানে নাতিরা
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)