নিজস্ব প্রতিবেদন : জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত শিশুর চিকিত্সার ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়ে চড়ে বসল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির ডেপুটি সিএমওএইচের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে কমিটিকে সোমবার রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. জগন্নাথ সরকার। একইসঙ্গে সোমবার বর্ষা দাস নামে ওই শিশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার দুপুরে পুকুরে পড়ে যায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়া চর এলাকার বাসিন্দা বর্ষা দাস। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সকরা দেড় বছরের বর্ষাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, শিশুটি তখনও বেঁচে ছিল। এরপর পরিবারের অনুরোধে হাসপাতাল সুপারকে ফোন করেন বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ দাস। পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন পাওয়ার পরই আবার চিকিত্সা শুরু হয় বর্ষার। প্রায় দু-ঘণ্টা পর ফের জানানো হয় যে, তাদের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


বর্ষার পরিবারের তরফে অভিযোগ, প্রথম অবস্থায় বিনা চিকিত্সাতেই 'মৃত' বলে ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে। আর যদি সত্যিই বর্ষা মারা গিয়েই থাকে, তবে কেন পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন পেয়ে আবার তার চিকিত্সা শুরু করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতওয়ালি থানায় বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্ষার বাবা বিদ্যুত্ দাস।


আরও পড়ুন, ঢিল আতঙ্কে সিঁটিয়ে মালবাজারের নতুন কলোনি