প্রদ্যুৎ দাস: উধাও বৃষ্টি। দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেখা নেই উত্তরের চা বলয়ে। শীতের রোদ গায়ে মেখে সবুজ রঙের কচি কচি পাতা যেন সদ্য আড়মোড়া ভাঙছে। উত্তরের চা বাগানের ছবি এমনই হবার কথা থাকলেও বিশ্ব উষ্ণায়নের কারনে বিগত কয়েক বছরে মতো এবারও খরা চা বলয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাদে এবং গন্ধে মরসুমের যে কোনও সময়কে পিছনে ফেলে দেয় শীতঘুম ভাঙা এই সময়ের চা পাতা। চা বাগান পত্তনকারী সাহেবরা যে পাতার নাম রেখেছিলেন ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’।


চা পর্ষদের নির্দেশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ডুয়ার্স এবং তরাইয়ে ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’-এর চা পাতা তোলা যাবে।


আরও পড়ুন: Paschim Bardhaman: ধারালো কাটারি দিয়ে এলোপাথারি কোপ, জনতার রোষের শিকার অভিযুক্তের স্ত্রী


জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রুটি রুজির অন্যতম অবলম্বন এই চা চাষ। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে  প্রথম ফ্লাশের চায়ের উৎপাদন। কারণ বৃষ্টি দেখা নেই উত্তরবঙ্গে।


অক্টোবর মাস থেকে সেচ ব্যাবস্থার মাধ্যমে চলছে চা গাছের প্রয়োজনীয় জলের যোগান। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে রোগ পোকার আক্রমণ। চা গাছ বাঁচাতে ব্যাবহার বাড়ছে কিটনাশকের। এর ফলে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।


আরও পড়ুন: Sandeshkhali: উত্তপ্ত সন্দেশখালি, বাচ্চাদের সুরক্ষায় পাঠানো হল মহিষাদলের রামকৃষ্ণ মিশনে


উত্তরের চারটি জেলার অন্যতম শিল্প চা। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারনে বিগত কয়েক বছর ধরে যে ধারা চলে আসছে প্রকৃতির সেটি এবারও যে বজায় থাকবে তার আভাস ইতিমধ্যেই মিলেছে বলে মন্তব্য চা বাগান মালিক গোষ্ঠীর সংগঠন ডিবিআইটিএ-র।


ডিবিআইটিএ-এর চেয়ারম্যান জীবনচন্দ্র পান্ডে জানান, ‘বৃষ্টি নেই পাশাপাশি বর্তমানে কুয়াশা এবং ঠান্ডার প্রকোপ রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে সে কারণেই পাতার ফলন মার খাচ্ছে। বর্তমানে চা শিল্প চরম সংকটের মুখে’।


ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে চলেছে তবুও দেখা নেই বৃষ্টির। ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে চা বাগান। একদিকে প্রকৃতির রোষ তার সঙ্গে নানান কারনে বেড়ে চলা উৎপাদন খরচ এই দুইয়ের জাঁতাকোলে কার্যত অবরুদ্ধ জেলার  চা শিল্প ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)