ওয়েব ডেস্ক: তাদের কুকীর্তির পর্দা ফাঁস হয়ে গেছে জেনেও, আশা ছাড়তে পারেনি অনির্বাণ রায়। জলপাইগুড়ি হত্যাকাণ্ডে ধৃত অনির্বাণের থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিঠি দেখে তেমনই অনুমান তদন্তকারীদের। পুলিসের দাবি টাকার লোভে বন্দি লিপিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিল অনির্বাণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৯ জুন ২০১৭। জলপাইগুড়িতে খুন LIC অফিসার। জলপাইগুড়ির কদমতলার বাড়িতে খুন হন LIC-র ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মহান্তি। তদন্তে নেমে উত্তম মহান্তি স্ত্রী লিপিকা ও মেয়ে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না লিপিকার প্রেমিক, অনির্বাণের। শেষে হাওড়া থেকে তাঁকে ধরে ফেলল পুলিস। আর ধৃত অনির্বাণের থেকেই চমকপ্রদ তথ্য এল তদন্তকারীদের হাতে।


'লিপিকা,  তোমায় ছাড়া বাঁচব না'.. এমনটাই লেখা রয়েছে অনির্বাণের পকেটে থাকা একটি চিঠিতে। রক্তের মতো লাল অক্ষরে সেখানে এই কথা লিখেছে অনির্বাণ। তবে রক্ত নয় লাল রং দিয়ে লিখেছে অনির্বাণ । সে কথা জেরায় মেনে নিয়েছে সে।


পুলিসের দাবি যে ভাবেই হোক বন্দি লিপিকাকে এই চিঠি পাঠাতে চেয়েছিল অনির্বান। অনির্বাণ চেয়েছিল ভবিষ্যতে যাতে তাঁর সঙ্গে লিপিকার সম্পর্ক টিকে থাকে। অনুমান, ভবিষ্যতে লিপিকার থেকে টাকা পাওয়ার পথ খোলা রাখতে চেয়েছিল সে। পুলিস জানতে পেরেছে, আগেও মহিলাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করে টাকা আদায় করেছে অনির্বান। তবে এখন বেগতিক দেখে মোহান্ত পরিবারের ওপরই দায় চাপাচ্ছে সে।


জেরায় অনির্বাণ জানিয়েছে, ঘটনার দিন তাঁকে ও উত্তম মোহন্তকে মুড়ি ও আম খেতে দেয় লিপিকা। এরপর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় অনির্বাণ। ফিরে এসে দেখে উত্তম মোহান্তর মৃত্যু হয়েছে। তবে অনির্বাণের এসব দাবি মানছেন না তদন্তকারীরা।


তবে অনির্বাণকে পাকরাও করতে পেরে খুশি জলপাইগুড়ির পুলিস । কোতয়ালি থানায় আসার পরেই অভিনন্দন জানানো হয় তদন্তকারী টিমকে। সহকর্মীরার বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানান, তদন্তকারী অফিসার সুব্রত সাহাকেও।


আবার বিতর্কে দুর্গাপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর হীরালাল বাউরি