প্রদ্যুৎ দাস: তিন দিন থেকে এলাকায় পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসী। অবশেষে এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মৃতদহে। শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে একদিকে যেমন চঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির এ সি কলেজ সংলগ্ন এলাকায়, পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। মৃত অজিত কর্মকারের স্ত্রী আচমকাই পাড়ার একটি ওষুধের দোকানে গিয়ে জানান, যে ওনার স্বামী মারা গিয়েছে। এর পরেই উক্ত দোকানদার মহিলাকে থানায় যাবার পরামর্শ দেন বলে খবর। কিছুক্ষণ পরেই  এলাকার কাউন্সিলর সহ অনেকেই বিষয়টি জেনে ছুটে আসে। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে  এবং ঘরের মেঝেতে পরে থাকা অজিত কর্মকারের মৃতদেহ দেখতে পায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: ফের কেষ্ট যোগ! সিবিআই নজরে অনুব্রত-কন্যার রাইস মিল


প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান যে তিন-চারদিন আগেই উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠালেও সেখানে তা করা যায়নি। পরবর্তীতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অজিত কর্মকারের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, মৃত রঞ্জিত কর্মকারের বোন দাদার এই পরিণতি দেখে পুলিসের সামনেই মৃত ব্যাক্তির মেয়ের ওপর আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পরে। মৃত অজিত কর্মকারের  ভাইপো অমিত কর্মকার জানান, এই বাড়িতে একমাত্র জেঠুই ভালো ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলত। কিন্তু কাকিমা এবং বোন খুব অত্যাচার করত।


তাঁর বক্তব্য, মা ও মেয়েরাই জ্যেঠুকে মেরে তিনদিন ফেলে রেখেছে। আমরা পুলিসের দ্বারস্থও হয়েছি। এদিন এসে দেখি বাড়ির সমস্ত জানলা-দরজা বন্ধ এবং জ্যেঠুর দেহ বেঁক গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দিদি ও জ্যেঠিমার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ঝগড়া করে কথা বলেন না। তবে তিনদিন আগে দিদি ও জ্যেঠিমার চেঁচামেঁচি শুনতে পান। দিদি বলেন, 'কাওকে বললে তোমাকেও মেরে ফেলব।'  ভাইপোর বক্তব্য, পাড়ায় কারও সঙ্গে কথা বললেও বাড়ি ফিরলে মার খেতে মৃত ব্যক্তি। 


আরও পড়ুন, Zee24 Ghanta Impact: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নয়ছয়! করণদিঘিতে গ্রেফতার ১


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)