প্রদ্যুৎ দাস: তিস্তা, জলঢাকা নদীতে জারি হলুদ সতর্কতা। গত ১৭ জুন থেকে টানা ৩১ নম্বর এনএইচ সংলগ্ন জলঢাকায় সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতার পাশাপাশি ১৮ জুন থেকে দোমহানি তিস্তা বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত এবং মেখলিগঞ্জের অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের জানায়, অতি বৃষ্টিপাতে গাছ পড়ে গিয়ে বন্ধ যাতায়াত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: 'রাজ্যপালকে অনেকটা বিড়ি খেয়ে উল্টানো রজনীকান্তের মতো লাগে', মদনের আক্রমণ গভর্নরকে


রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর। ভোর হতেই গাছ পরে বন্ধ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি যাতায়াতের পথ। মঙ্গলবার রাত থেকে শক্তি বাড়িয়ে ছিল বর্ষা। অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ছিল জলপাইগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড। বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই সামনে এলো বিপর্যয়ের দৃশ্য। জলপাইগুড়ি শহর থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াতের পথে শান্তি পাড়ায় রাস্তার ওপর পরে রয়েছে বিশালাকৃতির গাছ।


সে কারণেই ঘুর পথে চলছে যানবাহন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা নিত্য যাত্রী রিনা বণিক জানান, হঠাৎ করেই গাছটি রাস্তার ওপর পরে গেলো। এখন বাধ্য হয়েই ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সময় লাগছে এটাই দুর্ভোগ। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর সাহা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বড় গাছটি রাস্তার ওপরে হেলে পড়েছে। আপাতত রাস্তা বন্ধ।


মহীরুহের ভূতল সজ্জা প্রসঙ্গে স্থানিয় সুবীর বণিক জানান, রাত তখন ১২টা প্রবল বর্ষণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ দিনের এই গাছটি রাস্তার ওপরে কাত হয়ে পড়েছে। যার ফলে এই পথে বন্ধ যাতায়াত। প্রসঙ্গত, ১২ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পর মালদার উপরে তার অবস্থান ছিল ১৮ জুন পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গে পাঁচ দিন পরে বর্ষার প্রবেশ হয়েছিল। 


অন্যদিকে, জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হল জল। অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত নিয়ে ফুঁসছে জলঢাকা, অবিরাম বর্ষণে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন, পরিস্থতি মোকাবেলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। দেখতে গেলে একরকম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ীই যেন চলছে প্রকৃতি! আলাদা করে জলপাইগুড়ির পরিস্থিতিও খারাপ। জেলা জুড়েও চলছে ভারী বৃষ্টি। 


এর সঙ্গে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওদলাবাড়িতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজে থেকে প্রায় ১৮০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে। একই অবস্থা ৩১ নম্বর এনএইচ সংলগ্ন জলঢাকা নদীর। সেচ দফতরের পক্ষ থেকে তিস্তা এবং জলঢাকা নদীর পার্শ্ববর্তী অসুরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ বিপদ সংকেত।



আরও পড়ুন, Bengal Weather Today: দক্ষিণের বাকি জেলায় বৃষ্টি বুধবার, উত্তরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)