নিজস্ব প্রতিবেদন: ছদ্মবেশে কখনও জমির দালাল, আবার কখনও ছেঁড়া-ফাটা গেঞ্জি পরে নদীতে মাছ ধরার জেলে সেজে কাঠ পাচারকারীদের ধরলেন বন দফতরের কর্মীরা। পাচারকারীদের বড়সড় একটি চক্রের ৬ জনকে বমাল গ্রেফতার করল উত্তরবঙ্গে বন দপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। দলের প্রধান সঞ্জয় দত্ত ও তার জনাকয়েক সহকর্মী মিলে পাচারকারীদের জারিজুরি ফাঁস করেন। ওদিকে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। বন্দুক বার করে প্রাণে বাঁচেন বনকর্মীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওদলাবাড়ির বিদায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের উপ-প্রধান সুশীল সরকার বলেন," তখন রাত ৮টা হবে। ঘটনাস্থল ঘিস নদীর বাঁধে পৌছে দেখি একদল উত্তেজিত গ্রামবাসী সঞ্জয় দত্ত সহ বনকর্মীদের ঘিরে রেখেছে। বন দফতরের গাড়িতে ঢিল ছোঁড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি।" এরই মাঝে খবর পেয়ে টাস্ক ফোর্সের আরও জওয়ান ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছতেই  তার ওপর মারমুখি হয়ে ওঠে জনতা। 


এ প্রসঙ্গে সঞ্জয় বাবু বলেন,"বৃহস্পতিবার সকালে ঘিস নদীর ধারে সাওগাঁবস্তি এলাকায় জমির দালাল সেজে গিয়ে অবৈধ কাঠ চেরাই কল-সহ কাঠ মাফিয়াদের ডেরার হদিশ পাই। সন্ধ্যা নাগাদ আবার মাছ ধরার জেলে সেজে নদীর চরে নজরদারি শুরু করি। কিছুক্ষণ বাদে সাইকেলে চাপিয়ে দামি শাল ও সেগুন কাঠের চেরাই করা তক্তাগুলো একে একে আসতে শুরু করতেই আটক করা হয়। অভিযানে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাওগাঁর অবৈধ কাঠ চেরাই কলের সমস্ত সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ৫ লক্ষ টাকার কাঠ এদিন উদ্ধার করা হয়েছে।' 


রাজকুমার রায় মৃত্যুকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে যাচ্ছে পরিবার


ধৃতদের শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সঞ্জয় বাবু জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মংপং জঙ্গল থেকে বড়বড় গাছ কেটে লিস ও ঘিস নদীর জলে ভাসিয়ে এনে গোপনে কাঠ মাফিয়াদের ডেরায় পৌছে দেওয়া হতো। গাছ কাটা থেকে শুরু করে সুবিধামতো মাপে কেটে তা ভাসিয়ে আনা থেকে শুরু করে চেরাই করা এবং পাচারের জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ করা রয়েছে মাফিয়াদের। এদিন ধৃতদের জেরা করে মূল পাচারকারীদের কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।