Jalpaiguri: রাস্তার কাজের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর! পুরনো কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ গ্রামবাসীদের
একদিকে ভার্চুয়াল সভায় রাস্তাশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান চলছে অন্যদিকে ওই এলাকায় ধরা পড়লো উল্টো চিত্র। সাঁকোয়াঝোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকা সহ বিভিন্ন পাড়ায়। দুই তিন বছর আগে ঘটা করে রাস্তার পাশে কাজের উল্লেখ করে ফলক লাগানো হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রধানকে জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
প্রদ্যুৎ দাস: একদিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে ১২,০০০ কিলোমিটার রাস্তার কাজের ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করলেন। তখন জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তা গুলির ভিন্ন ধরনের ছবি ফুটে উঠলো। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চায় তাঁরা। ঠিক তখনই ইএউন্নয়ন নিয়েই দেখা গেল বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ধরা পড়লো উন্নয়নের ভিন্ন চিত্র।
একদিকে ভার্চুয়াল সভায় রাস্তাশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান চলছে অন্যদিকে ওই এলাকায় ধরা পড়লো উল্টো চিত্র। সাঁকোয়াঝোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকা সহ বিভিন্ন পাড়ায়। দুই তিন বছর আগে ঘটা করে রাস্তার পাশে কাজের উল্লেখ করে ফলক লাগানো হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রধানকে জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বর্ষা নামলে রাস্তা দিয়ে চলাচলের ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়। শুধু ফলক লাগানো হয় তারপরে এক কোদালও মাটি পড়েনি ওই সমস্ত এলাকায়।
আরও পড়ুন: Asansol: রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ, তোলপাড় আসানসোল
বছর কেটে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার বাসিন্দারা। আর সেই কাজের ফলক বর্তমানে পড়ে রয়েছে কলের পারে। আবার কোথাও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়, কোথাও অবার লাইটপোষ্টের নিচে।
আরও পড়ুন: DA Movement: ডিএ ধর্মঘটের জেরে শোকজ, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জবাব দিতে ডিআই অফিসে শিক্ষকরা....
অন্যদিকে গোটা ঘটনার নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আগামী ইলেকশনে মানুষ তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। গোটা ঘটনায় তদন্ত চাইছেন বিরোধী দল। কারণ ফলক লাগানো সত্বেও সেখানে কাজ হয়নি তার মানে সেখানকার বরাদ্দ টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
তবে গোটা ঘটনা নিয়ে সাঁকোয়াঝোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ ওঁরাও জানান এনআরজিএস-এর আন্ডারে যে সমস্ত কাজের বোর্ড লাগানো হয়েছে ফান্ড না থাকার কারণে সেগুলো আটকে রয়েছে এবং ওয়ার্ক অর্ডারও হয়েছে। সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব কাজ করা হবে।