`শারীরিক চাহিদা` মেটাতে স্বামীকে ছেড়ে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে সংসার গৃহবধূর
স্বামীর বয়স বেশি হওয়ায় তাঁর শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারতেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান কিশোর ঘোষের হাত ধরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দু'বছর ধরে শ্বশুরবাড়ী থেকে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার জলপাইগুড়ির গৃহবধূ। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে নদীয়ার কৃষ্ণনগরে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন তিনি। একটি পুত্র সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন। পুলিস তাঁর দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। ওই গৃহবধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, জলপাইগুড়ির ঝাকুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত্ নন্দীর সঙ্গে বিয়ে হয় কোচবিহার নিবাসী ওই গৃহবধূর। তাদের একটি ৮ বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের, ১৮ জুলাই ইন্দ্রজিত্বাবু জলপাইগুড়ি কোতওয়ালি থানায় স্ত্রীর নামে একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। দিন কয়েকের মধ্যে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে একটি অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। অবশেষে তদন্তে নামে জলপাইগুড়ি পুলিস। জেলা পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ''ওই মহিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে আমরা তদন্ত শুরু করি। প্রথমে কেরলে এই ঘটার একটি সূত্র পাই। অবশেষে জানতে পারি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে তাঁর ফেসবুক ফ্রেন্ড কিশোর ঘোষের সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করেছেন তিনি। গর্ভবতীও হয়েছেন।''
অবশেষে দিন কয়েক আগে পুত্র সন্তান প্রসব করার পরই তাঁকে ও কিশোর ঘোষ পুলিসের জালে ধরা পড়ে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। সেই সঙ্গে ওই গৃহবধূকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানতে পেরেছে। পুলিসকে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। স্বামীর বয়স বেশি হওয়ায় তাঁর শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারতেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান কিশোর ঘোষের হাত ধরে।
আরও পড়়ুন- 'সুপ্রিম নির্দেশে' তত্পর কমিশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জমা পড়ল ১৩৪টি মনোনয়নপত্র