Jamai Sasthi 2024: জামাই ষষ্ঠীতে এবার জামাইদের পাতে পড়বে না খোদ গৌড়ের আম?
Jamai Sasthi 2024: এ বছর মালদার আম জামাইদের পাতে হতে পারে অমিল। কারণ মালদায় আমের ফলন হয়েছে কম। গাছে আম নেই। শ্বশুর-শাশুড়িদের মুখে নেই হাসি। তবে চাষিদের মুখে চওড়া হাসি।
রণজয় সিংহ: এ বছর মালদার আম জামাইদের পাতে হতে পারে অমিল। কারণ মালদায় আমের ফলন হয়েছে কম। গাছে আম নেই। শ্বশুরদের মুখে নেই হাসি। তবে চাষিদের মুখে রয়েছে চওড়া হাসি। খোশমেজাজেই আমবাগানে ঘুরছেন আমের জেলার আমচাষিরা। মালদায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: তিস্তার ভয়ংকর রূপের কথা ভেবে আতঙ্কে নৌকায় আলকাতরা মাখাচ্ছেন গ্রামবাসী...
কিন্তু এই বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য আম নেই গাছে। মালদার আমের বিশ্বজোড়া নাম। কিন্তু বাগানেই এবার আমের পাইকারি দর কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে একটু ঢুঁ মারলেই পুড়ছে হাত। সর্বত্রই চড়া দাম আমের। এবার ফলন খুব কম হয়েছে বলে আমের জেলার আমবাজারেই আম বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে! লক্ষণভোগ ১০০, ল্যাংড়া-হিমসাগর ১২০ টাকা কেজি। তাতে মুখে হাসি ফুটেছে আমচাষিদের। কিন্তু জামাই ষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে অমিল হতে পারে মালদার আম।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে গাছ থেকে আম ভাঙার কাজ। আর শুরুতেই চড়া দামে বিকোচ্ছে মালদার আম। চাষিদের দাবি, এই দর কমবে না। বরং আরও বাড়বে। গাছের আম যত কমবে, ততই দর বাড়বে। মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, জামাইষষ্ঠীতে কদর বাড়ে মালদার আমের। তবে এ বছর আমের ফলন কম। তাই আমের দাম প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই। এই মরশুমে কার্যত ইতিহাস গড়তে চলেছে আমের জেলার আম। মুঘলসম্রাট বাবরের 'শের-ই-হিন্দুস্তান' বলে কথা। স্বাদে-গন্ধে-বর্ণে ও বৈচিত্রে রসনাতৃপ্তকারী বাঙালির প্রিয় ফল এই আম। ফলের রাজাও বটে। এহেন ফলের বাজারদর ১০০ ছুঁয়ে ২০২৪ সালে এবার রেকর্ড গড়বে মালদার লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর।
আরও পড়ুন: Jamai Sasthi 2024: জামাই-আদরে ছন্দপতন! ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাত থেকে আম কাড়ল 'রিমাল' এবং...
ইতিহাসনগরীতে ফলের রাজার খ্যাতি আবহমানকাল ধরেই। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ে সুলতানি আমলের ইমারতগুলির চারপাশে শুধুই আমবাগান। কিন্তু হলে কী হবে? ফলনের মান খুবই কম। মূলত আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এমন হাল মালদার আমের। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচন্ড ঠান্ডায় গাছে মুকুল আসেনি। আর যখন মুকল এল, তখন বৃষ্টি। মুকুল ঝরে গেল। মুকুলের পরিবর্তে পাতা গজিয়ে গেল। এর উপর রাজ্য জুড়ে দাবদাহের দাপট। আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ে। তাই ফলন তলানিতে।