ওয়েব ডেস্ক: বৃষ্টির দাপট কমেছে। জল কমেছে ময়ূরাক্ষী-কোপাই-দ্বারকা-ব্রাক্ষ্মণীর। কিছুটা উন্নতি হয়েছে বীরভূমের পরিস্থিতির। তবে, পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অতিবৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যতদূর চোখ যায় শুধুই জল আর জল। ময়ূরাক্ষী-ব্রাহ্মণী-দ্বারকা তিন নদীর বাঁধভাঙা জলে ডুবেছে বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেহাল দশা লাভপুর ও মহম্মদ বাজারে। লাগাতার বৃষ্টি সঙ্গে ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের যুগলবন্দি। কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন লাভপুর। জলবন্দি দশটি গ্রামের মানুষ।


তবে, বিপর্যয়ের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে প্রকৃতি। রাত থেকে জেলার সব জায়গাতেই বৃষ্টির দাপট কমায় বেলা বাড়তেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়।


এলাকা                   বৃষ্টিপাত(মি মি)


 


সিউড়ি                       ৬.৫


বোলপুর                    ৪.০


রামপুরহাট                ১০.০


 


বৃষ্টি কমায় কমেছে নদীর জলস্তরও। ময়ূরাক্ষী-কোপাই-কুয়ে-ব্রাহ্ননির জলস্তর নেমেছে। কুয়ে নদীর জল নেমেছে। দুদিন পর খুলে দেওয়া হয়েছে লাভপুর-লাঘাটা ব্রিজ।


যান চলাচল শুরু হয়েছে সিউড়ি-কাটোয়া রাস্তায়। জেলার পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড। লাগাতার বৃষ্টি চলছে সেখানে। ম্যাসানঞ্জোর থেকে নতুন করে জল ছাড়লে ডুবতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিনও তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে আড়াই হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। জল ছাড়া হয়েছে ব্রাহ্ননি ও দ্বারকা থেকেও। সবমিলিয়ে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে বীরভূমের ওপর।