নিজস্ব প্রতিবেদন:  মাসাঞ্জোর জট এখনও অব্যাহত। বন্ধ সমস্ত কাজ। প্রবেশ তোরণে বিশ্ববাংলার লোগো ঢেকে দেওয়া নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। জট খুলতে শনিবার বীরভূমের জেলাশাসক ও ঝাড়খণ্ডের দুমকার কালেক্টরের মধ্যে ফোনে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবারই কাজ বন্ধ হওয়ার জন্য মাসাঞ্জোর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগে নাম রয়েছে কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম। মাসাঞ্জোরে প্রবেশ তোরণে ঝাড়খণ্ডের সাঁটিয়ে দেওয়া লোগোটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  বিশ্ববাংলার লোগোই আপাতত রয়েছে ওই তোরণে। 


সম্প্রতি ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের সংস্কারে হাত দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সেচ দফতর। গোটা বাঁধকে নতুন রঙে সাজানোর কাজ চলছিল জোরকদমে। নীল-সাদা রঙে সাজছিল ৬ দশকের পুরনো এই বাঁধ। বাঁধ সংস্কারের জন্য ১.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই টাকায় বাঁধের প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছিল তোরণ। তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামের পাশাপাশি ছিল বিশ্ববাংলার লোগো। বাঁধের কাজ বন্ধের পাশাপাশি সেই নাম মুছে, লোগো খুলে লেখা হয়েছে ঝাড়খন্ড সরকার, লাগানো হয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকারের লোগো। 


আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙলে চোখ খুলেই গৃহকর্তা দেখলেন, বিছানায় তার পাশে রয়েছে...


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, বাঁধ ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হলেও যেহেতু তার দেখভাল করে পশ্চিমবঙ্গ তাই তাদের পছন্দমতো রং করার অধিকার রয়েছে এরাজ্যের। পশ্চিমবঙ্গের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি শাসিত ঝাড়খন্ড। তাদের দাবি, বাঁধটি ঝাড়খণ্ডে, তাই সেখানে কোনও অবস্থাতেই লাগানো যায় না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো। 


ঘটনায় তৃণমূল সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার নয়, বাঁধের কাজ রুখেছেন ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আধিকারিকরা সারা রাজ্যে নীল-সাদা রং করতে করতে যে কখন ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়েছেন তা টের পাননি।