দেবব্রত ঘোষ: বিপুল টাকা-সহ হাওড়ার পাঁচলা পুলিসের হাতে ধরা পড়েন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ টাকা। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর সোমবার জামিনে ছাড়া পেলেন ২ কংগ্রেস বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ ও নমন দিক্সল। এর আগে ছাড়া পেয়েছিলেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি। জামিন পাওয়ার পর কংগ্রেস বিধায়করা বলেন, দিদির সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। কারা তাঁকে ভুল বুঝিয়েছিল জানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইব কারা তাঁকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। শনিবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেই আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গোরু বিক্রির টাকায় দুর্গাপুজো! রাজ্যকে নিশানা দিলীপের 


গত ৩০ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় আটক করা হয়ে ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ,নমন দিক্সল ও ইরফান আনসারিকে। তাদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ টাকা। সেই টাকা কী কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার কোনও জুতসই উত্তর তারা দিতে পারেননি। তাঁরা যে যুক্তি দিয়েছিলেন তা মানতে চায়নি পুলিস। তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে ওই তিন বিধায়ক উঠেছিলেন মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে। সেখানে একটি ব্যাগ সহ দেখা করে এক স্কুটার আরোহী যুবক। সন্দেহ করা হয়েছিল ওই যুবকই তাদের ওই টাকার জোগান দিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের ওই তিন বিধায়ক জানিয়েছিলেন, আমাদের কাছে যে টাকা ছিল তা শাড়ি, ফুটবল কেনার জন্য এনেছিলাম। ৯ আগস্ট আমরা ধুমধাম করে আদিবাসী দিবস পালন করি। তার জন্যই ওইসব উপহার কিনতে এসেছিলাম।


ওই ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই তিন বিধায়ক। সেই মামলায় তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। ওই তিন বিধায়কের গ্রেফতারের পর গোটা বিষয়টি আরও জটিল করে তোলে ঝাড়খণ্ডেরই আরেক বিধায়কের করা একটি এফআইআর। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং আরগোড়া থানায় একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন, পাঁচলায় ধৃত ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় যেতে বলেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল অসমে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা হবে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে যে জোট সরকার রয়েছে সেই সরকারকে উত্খাত করার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই ৩ বিধায়ক। এর জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা অফার করা হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় মন্ত্রিত্বের টোপও। সেই টোপ তাঁকেও দেওয়া হয়। ওই তিনজন বলেছিলেন কলকাতায় আসতে। সেখানে থেকে সবাই মিলে অসমে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে।


গত শনিবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি দাবি করেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি মমতা দিদিকে এটাই বলব, আমরা কংগ্রেসের সৈনিক। আমি সংখাযলঘু হজ কমিটির চেয়ারম্যানও। যে ভাবে আপনারা ওই টাকাতে রাজনৈতিক রং দিয়ে ফাঁসালেন তাতে আমার ভালো লাগেনি। মমতা দিদিকে আমি সম্মান করি। শুধুমাত্র রাজনৈতির লাভের জন্য আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। এটা একেবারেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। আমার বাবাও ৩০ বছর বিধায়ক ছিলেন। আমার সঙ্গে এক বিধায়ক ছিলেন যিনি খ্রিষ্টান সমাজের প্রতিনিধি। আমরা কেন বিজেপিতে যাব?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)