জিয়াগঞ্জে ৪৮ হাজার টাকার জন্য খুন! ৭ দিন পর মাথা খাটিয়ে গল্প লিখেছে: দিলীপ
টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিয়াগঞ্জ খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরাকে। প্রতিহিংসার জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে তদন্তে জানিয়েছে পুলিস। কিন্তু পুলিসের তদন্ত '৭ দিনের গল্প' বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''জনতার চাপে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা মুখরক্ষার কৌশল।''
জিয়াগঞ্জ খুনের কিনারা করেছে পুলিস। টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে। শুরু থেকে বিজেপি রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করে আসছিল। কিন্তু পুলিসের তদন্তে তাদের সেই দাবি ধাক্কা খেল। কিন্তু পুলিস তদন্ত ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ''আমি জানি না, এটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য! গল্প কতটা মানুষ খাবে? ৭ দিন পর মাথা খাটিয়ে গল্প লেখা হয়েছে। এটা সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য কি! ৪৮ হাজার টাকার জন্য পরিবারকে খুন করে দিল। এমনভাবে খুন করল লোকে জানতে পারল না। এটা মুখরক্ষার চেষ্টা। জনতার চাপে চোখে ধুলো দিচ্ছে পুলিস।''
কিন্তু রাজনৈতিক খুনের দাবি থেকে সরে এসেছেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, ''রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক, হত্যা যে হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সত্য সকলের সামনে আসা উচিত। আমি প্রথম দিনেই বলেছি, সিবিআই তদন্ত চাই। বিষয়টি জটিল করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এরা সমাধান করবে না। সমস্যা তৈরি করবে।''
পুলিসের তদন্তে জানা গিয়েছে, একাধিক বিমা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বন্ধুপ্রকাশ পাল। তাঁর কাছে বিমার প্রিমিয়াম জমা দিতেন উৎপল। কিন্তু প্রিমিয়ামের টাকা জমা দেননি বন্ধুপ্রকাশ। ৪৮ হাজার টাকা পেতেন উৎপল। অভিযোগ, টাকার জন্য চাপ দিলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বন্ধুপ্রকাশ। দশমীর দিন খুনের পর পোশাক বদলান উৎপল। এরপর দুধওয়ালা বাড়িতে আসতেই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। বিছানায় মৃতদেহের পাশেই মিলেছে বিমার কাগজ। ওই কাগজেই লেখা ছিল উৎপল বেহরার নাম। তদন্তে জোড়া সূত্রের হদিশ মিলতেই পুলিসের জালে ধরা পড়ে উৎপল বেহরা। তাঁর বোনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন- প্রতারণার বদলা নিতেই খুন, ৭ দিন পর জিয়াগঞ্জ খুনের কিনারা পুলিসের