নিজস্ব প্রতিবেদন: জিয়াগঞ্জ কাণ্ডে নয়া মোড়। শুক্রবার বিকেলে সৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির খোঁজে  রামপুরহাটে তল্লাসি চালায় মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের একটি দল। তবে ওই ব্যক্তিতে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামপুরহাটের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌভিক বণিকের বাড়িতে হানা দেয় মুর্শিদাবাদ পুলিস। তবে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাসি। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশকিছু নথিপত্র। সিউড়িতে জাতীয় সড়কের পাশে তাঁর ভাড়া বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। 


এদিন রাতে ফের ঘটনাস্থলে যান পুলিসের পদস্থ কর্তারা। পুলিস সুপার জানান, ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ জনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 


জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবার খুনে ধোঁয়াশার পর্দা এখনও সরেনি। তবে বেশকিছু সূত্র ও তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিস। জানা গিয়েছে, বন্ধুপ্রকাশ পাল শিক্ষকতা ছাড়াও একটি ফিনান্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। পুলিস সূত্রে খবর, বন্ধুপ্রকাশ পালের স্ত্রী বিউটি পালের আঘাত বেশি ছিল। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। বাড়িতে জোর করে ঢোকার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। ঘর থেকে খোয়া যায়নি কিছুই। অর্থাত পরিচিত কেউ এর মধ্যে জড়িত রয়েছে বলে অনুমান। উদ্ধার হওয়া হাতে লেখা নোট ও ডায়েরি খতিয়ে দেখছে পুলিস। শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


শুক্রবার়ও ফের এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগের কথা উড়িয়েছে পুলিস। রাজ্য পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ পাওয়া যায়নি। বন্ধুপ্রকাশ পালের বাজারে দেনা হয়ে গিয়েছিল। প্রতিহিংসার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান।


দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ দেখানো হয় জিয়াগঞ্জ থানাতেও। 


আরও পড়ুন- দিদির এক্সপায়ারি হয়ে গিয়েছে, মমতাকে মমতার ভাষায় কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ