নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের পুরসভার পুর প্রশাসক পদ ছেড়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari), আর তারপরই আজ তাঁর নিরাপত্তা কমানো হল। জানা গিয়েছে, তাঁর যে ব্যক্তিগত ৪ জন নিরাপত্তারক্ষী ছিল তাঁদের মধ্যে থেকে দু-জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর বাকি দু-জনকেও আজ সরিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি অফিসের নিরাপত্তাও কমিয়ে দেওয়া দেওয়া। তবে জীতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে যেকজন নিরাপত্তারক্ষী ছিল তাদের এখনও রাখা হয়েছে বলেই খবর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ প্রসঙ্গে,  Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'যখন সরকার মনে করেছে আমার জীবনের খুব মূল্য, তখন নিরাপত্তা দিয়েছিল। এখন সরকার মনে করেছে আমার জীবনের মূল্য নেই তখন সরিয়ে নেওয়া হল নিরাপত্তা। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি তৃণমূলের কেউ নই, কারও কোনও ক্ষতিও করিনি। এবার আমায় সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে দেওয়া হোক।' পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী-এর বক্তব্য, 'আমাদের পাশে জনগণ রয়েছে, ওরাই আমার বৃহৎ পরিবার। আমরা আর কারও থেকে কিছু আশা করি না'


উল্লেখ্য, আজ কলকাতা ঢুকছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গতকালই জানিয়েছিলেন, আজ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক পদও ছাড়তে চলেছেন জিতেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টাকে জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, ' আমার নিরপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাবুল সুপ্রিয় পছন্দ করেন না আমাকে। তাই কাল ফেসবুকে ওসব বলেছেন। 


আরও পড়ুন: কেষ্টপুরে Trinamool Party Office এ ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সর্বস্ব


শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছেড়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। বুধবার পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের অফিসের ভাঙচুরের পর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।  চিঠি পাঠান TMC রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে (Subrata Bakshi)। যদিও আজ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না বলেই Zee ২৪ ঘন্টা-কে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwar)। 


সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। পুরমন্ত্রী  নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) চিঠি দিয়েছিলেন আসানসোল পুরসভার পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) । সেই চিঠিকে ঘিরে জলঘোলা কম হয়নি। শেষপর্যন্ত 'ড্য়ামেজ কন্ট্রোল' নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি ফোন করে জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tiwari )। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আসানসোলের বিদায়ী মেয়র।


উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে শুক্রবার কলকাতার জিতেন্দ্র-এর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই বৃহস্পতিবার আসানসোলের পুর প্রশাসক, এমনকী তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। 


স্রেফ আসানসোলের পুর প্রধানই নন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাণ্ডবেশ্বরের TMC বিধায়কও। বৃহস্পতিবার পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে পাণ্ডবেশ্বরে তাঁর অফিসে ভাঙচুর চালায় এক দল দুষ্কৃতী। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, 'দলের কলকাতার নির্দেশেই এই ভাঙচুর। ওরা চাইছে না, আমি দলে থাকি।' তাঁর প্রশ্ন, 'একদিকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব, অন্যদিকে অফিসে হামলা?' তাঁর আরও অভিযোগ, ভোটার আধার কার্ড-সহ এলাকার মানুষজনের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা ছিল অফিসে, দলের লোক সেগুলোও ছিঁড়ে নষ্ট করেছে। জিতেন্দ্রর প্রশ্ন, তিনি কোনওদিনই বলেননি BJPতে যোগ দেবেন তাহলে কেন এই হামলা। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন আসানসোল পুরনিগমের সদ্য পদত্যাগী পুর প্রশাসক।