নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭ দিন পর জিয়াগঞ্জ কাণ্ডে ব্রেকথ্রু। প্রতারণার প্রতিহিংসা থেকেই খুন করা হয়েছে শিক্ষক ও তাঁর পরিবারকে। মঙ্গলবার অবশেষে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে কিনারা করল জেলা পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, দশমীর দিন দুপুর ১২.৬ থেকে ১২.১১ অর্থাৎ মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনজনকে খুন করা হয়েছে। প্রাপ্য টাকা ফেরত না পেয়েই সপ্তমী থেকে খুনের ছক কষেছিল অভিযুক্ত উৎপল বেহরা। পুলিসের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত উৎপল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


একাধিক বিমা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মৃত বন্ধুপ্রকাশ পাল। উৎপলও তাঁর কাছে বিমার টাকা দেয়। রশিদ চাইতেই জানা যায় জমাই পড়েনি সেই টাকা। মৃত শিক্ষকের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা পেত উৎপল। অভিযোগ, এরপর টাকার জন্য বন্ধুপ্রকাশকে চাপ দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় উৎপলকে। জানা গিয়েছে, খুনের পর পোশাক বদলায় উৎপল। এরপর দুধওয়ালা বাড়িতে আসতেই তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালায় আততায়ী। বিছানায় মৃতদেহর পাশেই মিলেছে বিমার কাগজ। সেই কাগজেই লেখা ছিল উৎপল বেহরার নাম। তদন্তে জোড়া সূত্রের হদিশ মিলতেই পুলিসের জালে পড়ে উৎপল বেহরা, আটক তাঁর বোনও।


আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জকাণ্ডে নয়া মোড়, পুলিসের জালে উত্পল বেহরা নামে সাগরদিঘির এক রাজমিস্ত্রি


পুলিস জানাচ্ছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই খুন, এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। পাশাপাশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বন্ধুপ্রকাশের শেষ কথা হয়েছিল উৎপলের সঙ্গেই। এরপর খুন করে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। যদিও খুনের কথা অস্বীকার করেছে উৎপলের পরিবার। তাঁর মা-এর দাবি "তাঁদের ছেলে নির্দোষ"। ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন উৎপল বেহরার মা।