নিজস্ব প্রতিবেদন : আইনি জটে থমকে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া। ভোট পিছলে বাংলার উন্নয়ন ব্যাহত হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি ধাক্কা খাবে বলে সরব সরকারপক্ষ। এহেন পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সরকারি কর্মসূচি আগাম জানালেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রী এদিন জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে ১,৫০০ নতুন রেশন দোকানকে ডিলারশিপ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কী করে নতুন রেশন দোকানের ডিলারশিপ পাওয়া যাবে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী করে মিলবে নতুন রেশন দোকানের ডিলারশিপ?
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন রেশন দোকানের ডিলারশিপ দেওয়া হবে মূলত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। এরজন্য ১০ জন করে মহিলাকে নিজেদের একটা দল তৈরি করে রেশন দোকানের ডিলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন মঞ্জুরের পর নিজেদের বাড়ির একাংশেই রেশন দোকান খুলতে পারবেন তাঁরা। এক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে সরকার কোনও টাকা নেবে না।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত জটে থমকে উন্নয়ন, ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "মহিলারা খুব দায়িত্ববান ও সত্ হন। তাই তাঁদের হাতে রেশন দোকান ভালো চলবে বলে আশা করছি।" পাশাপাশি, সমবায় সমিতি ও একক ব্যক্তি হিসেবে আবেদন করলেও ডিলারশিপ মিলবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায়, রাজ্যে লাগু রয়েছে আদর্শ নির্বাচনী বিধি। তাই ডিলারশিপের বিজ্ঞপ্তি এখনই জারি করা হচ্ছে না। ভোটপর্ব মেটার পরই ডিলারশিপের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।


আরও পড়ুন, বাংলার পঞ্চায়েতের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি


খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বহু রেশন দোকানেক মালিকের মৃত্যু হয়েছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণে বাতিল করা হয়েছে রেশন মালিকের লাইসেন্স। সেকারণে গ্রাম বাংলায় বহু রেশন দোকান বন্ধ হয়ে রয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রেশন তুলতে অনেক দূরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই সমস্যা সমাধানেই নতুন ১,৫০০টি রেশন দোকানের ডিলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেশিরভাগ রেশন দোকানই হবে গ্রামীণ এলাকায়। তবে শহরেও বেশ কিছু জায়গায় নতুন রেশন দোকানের ডিলারশিপ দেওয়া হবে।