নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই। এনিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরকম এক অবস্থায় আমফানে ত্রাণ নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আগামী ৫ দিন দুর্যোগের আশঙ্কা, বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে কন্ট্রোলরুম তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর


সোমবার সন্ধেয় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কেন্দ্র রাজ্যকে সাহায্য করে। রাজ্যে আমফান এসেছিল। রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কেন্দ্র আমফান ত্রাণে হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাদের কাছে টাকা পৌঁছানোর কথা ছিল তা পৌঁছায়নি।  ওই টাকা টিএমসির কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।


করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রে টাকা খরচ নিয়ে রাজ্যে সরকারের সমালোচনা করেন কৈলাশ। বলেন, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে টাকা দিয়েছিল। সেখানেও চিকিত্সা সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে। আমার কাছে রেকর্ড রয়েছে, পাঁচশো টাকা জিনিস পাঁচ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। যারা বিক্রি করেছেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার বা মুখ্য সচিবের ঘনিষ্ঠ লোকজন। মমতা তদন্ত কমিটি গড়েছেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন যাঁরা তারাই দুর্নীতিতে সামিল। 


আরও পড়ুন-কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে! দিনের শেষে আস্থা সেই সোনিয়াতেই


এদিকে, আমফান নিয়ে রাজ্যকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট দিতে বলল আদালত। আমফানে কারা টাকা পেয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থরা কেন টাকা পাননি তা নিয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা হয়।


আজ প্রধানবিচারপতি রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, তথ্য রিপোর্ট আকারে আনা হয়নি কেন? এজি জানান সব তথ্য পেতে আরও সময় লাগবে। প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বলেন, রাজ্যকে দ্রুত জানাতে হবে আমফান নিয়ে রাজ্য কি করেছে? কত আবেদন নিয়েছে, যারা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বা পেয়েছেন তাদের নাম পাবলিক ডোমেনে প্রকাশ করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে এই রিপোর্ট দিতে হবে।