Kalbaisakhi Affects Flight Landing: `ছিটকে পড়ছিল যাত্রীরা, কান্নার রোল!` কালবৈশাখির দাপটে `উলটপালট` প্লেন, মাঝ আকাশে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
ওভারহেড বিনের ঢাকনা খুলে যায়। যত যা লাগেজ ছিল, উপর থেকে সব নীচে যাত্রীদের মাথায়-গায়ে পড়তে থাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝ আকাশে কালবৈশাখির কবলে পড়ে বিপত্তি। কালবৈশাখির জেরে হঠাৎ করে লন্ডভন্ড হওয়া শুরু হয় প্লেনের মধ্যে। এমনভাবের উলটপালট হতে শুরু করে বিমানটি যে সবাই প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। কালবৈশাখির কবলে পড়ে মাঝ আকাশে বিমানের মধ্য়ে শনিবারের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সেদিনের বিমানযাত্রী মণীন্দ্র ভার্মা ও তাঁর মেয়ে টিয়া ভার্মা।
মণীন্দ্র ভার্মা একজন ব্যাঙ্ক কর্মী। মুম্বইয়ে কাজ করেন। আসানসোলের এস বি গড়াই রোডে বিয়ে বাড়ি এসেছেন। ৪ তারিখে রাঁচি থেকে বিমান ধরে ফের মুম্বই ফেরার কথা তাঁর। কিন্তু তিনি জানালেন, শনিবারের ঘটনায় তাঁর মেয়ে টিয়া এতটাই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে যে, আর বিমানে উঠতেই চাইছে না। তিনি বলেন, সেদিন হঠাৎই বিমানের মধ্যে সব উলটপালট দশা শুরু হয়। ওভারহেড বিনের ঢাকনা খুলে যায়। যত যা লাগেজ ছিল, উপর থেকে সব নীচে যাত্রীদের মাথায়-গায়ে পড়তে থাকে। প্লেনের মধ্যে তখন আক্ষরিক অর্থেই লন্ডভন্ড দশা।
এমনকি বিমানটি এমনভাবে এপাশ-ওপাশ কাৎ হতে থাকে যে, সিট থেকে যাত্রীরা পর্যন্ত ছিটকে পড়তে শুরু করে। প্রাণভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলেন যাত্রীরা। শেষমেশ কোনওমতে বিমানটি অবতরণ করলে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। এই ঘটনায় যথোপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন মণীন্দ্র ভার্মা। তিনি বলেন, "কেন এরকম হল? তদন্ত কমিটি গঠন করে দেখা উচিত। কালবৈশাখি তো সব জায়গাতেই হয়। সেজন্যই কি এই দুর্ঘটনা? না অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এটার তদন্ত হওয়া উচিত।" প্রসঙ্গত, সেদিন বিমানে ১৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী। আহতরা দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে পরে বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয় যে, কালবৈশাখির কারণে বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতাগামী ৬টি বিমানকে সেদিন অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ৩টি বিমান গুয়াহাটি পাঠানো হয়। রাঁচি ও গোয়ালিয়র থেকে আসা ২টি বিমান ভুবনেশ্বরে পাঠানো হয়। বেঙ্গালুরু থেকে আসা বিমান রায়পুরে পাঠানো হয়। ওদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে মুম্বই থেকে দুর্গাপুরগামী SG-945 বিমানটি অন্ডালে জরুরি অবতরণ করে। আচমকা ঝড়ের কবলে পড়ায় বিমানে তীব্র ঝাঁকুনি তৈরি হয়।