অনুপ দাস: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম নদিয়ার হোগলবেরিয়ায় স্বপ্নে পাওয়া কৃষ্ণকালী পুজো সারা বছর হলেও,কালিপুজোর দিন বিশেষ পুজো হয়। সেন পাড়া গ্রামে অধিষ্ঠিত রয়েছেন কৃষ্ণকালী মাতা। বছরের প্রত্যেকদিন নিত্য সেবা হলেও কালীপুজোর অর্থাৎ দীপান্বিতা অমাবস্যার সময় এখানে করা হয় বিশেষ পুজো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Barrackpore: হাড়হিম! মেয়েকে মেরে পাশে দাঁড়িয়ে মা, বিছানায় পড়ে দেহ...


একই সঙ্গে করা হয় প্রথমে কৃষ্ণের এবং পরে মা কালীর পুজো করা হয় ওই দিনে। জানা যায়, ২০১৪ সালে এলাকারই এক বাসিন্দা জয়দেব মন্ডলের স্বপ্ন আদেশের পরে গ্রামবাসী ও ভক্তদের দানেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে অধিষ্ঠিত মূর্তির রয়েছে এক হাতে খর্গ, অন্য হাতে পদ্ম এবং অন্য দুই হাতে বাঁশি। অর্থাৎ মা কালী ও শ্রীকৃষ্ণের যুগল বন্ধন যাকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বলা হয় কৃষ্ণ কালী মাতা।


এই কৃষ্ণকালী মাতা সৃষ্টির রয়েছে এক কাহিনী। পুরাণ মতে জানা গিয়েছে, শ্রী রাধা ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী। তিনি যখন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে যান তখন আয়ান ঘোষের মা দেখে ফেলেন এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কৃষ্ণ এবং কালী। এরপরেই তিনি দেখতে পান তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণ এবং কালি। রাধা সেখানে উপস্থিত নেই। সেই থেকেই জগতে কৃষ্ণ কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।


এমনটাই জানাচ্ছেন বর্ষিয়ান পুরোহিত শম্ভু মৌলিক। শ্রীচৈতন্য ধাম নদিয়া জেলায় দুই এক জায়গায় কৃষ্ণ কালী মাতার পুজো করা হলেও কৃষ্ণ কালী মন্দির জেলার আর কোথাও নেই বললেই চলে। তেমনই ২০১৪ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এই কৃষ্ণকালী মাতার পুজো হয়ে আসছে নদিয়ার হোগলবেরিয়া থানার সেনপাড়া গ্রামে।



আরও পড়ুন, Jalpaiguri: ভয়াল তিস্তা! মুছে যাচ্ছে দুই জলজ্যান্ত গ্রাম..


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)