নিজস্ব প্রতিবেদন:  আমডাঙায় সংঘর্ষের জের। অপসারিত হতে হল ডিএসপিকে। সরিয়ে দেওয়া হল ডিএসপি হেড কোয়ার্টার কল্যাণ রায়কে।  এদিকে বুধবার তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায়  গ্রেফতার আরও সাত জন। জালে মোট ১৭। বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট ।  গাড়ি ও বাইক থামিয়ে চলছে তল্লাসি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আমডাঙার পর পুরুলিয়া, আবারও কোপের মুখে ওসি


এদিকে, শুক্রবার আমডাঙ্গা থানার বহিসগাছি এলাকায় দুই  মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সাথে দেখা করেন যুব নেতা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। আগামী ৬ তারিখ এখানে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভা ও মিছিল হবে সে বিষয়ে স্থান চূড়ান্ত করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। পার্থ জানান, পুলিস তার ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলেই আমডাঙ্গাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।


আরও পড়ুন: পর্দাফাঁস! মোমোকাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি, ধৃত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র! জানেন কেন তিনি করেছেন এমন কাজ?


প্রসঙ্গত, এর আগে আমডাঙার সংঘর্ষের ঘটনায় সরিয়ে দেওয়া হয় ওসি মানস দাসকে। পাশাপাশি সরানো হল আমডাঙার সাব-ইন্সপেক্টর সুবীর হালদারকেও। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে হয় ব্যাপক গুলির লড়াই, বেপরোয়া বোমাবাজি। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের মধ্যে ২ জন তৃণমূল কর্মী, ১ জন সিপিএম কর্মী। ঘটনায় আহত হন আরও ১৭ জন।


আরও পড়ুন: শ্বশুরের ঔরসেই স্ত্রীর দ্বিতীয় সন্তান! নিজের মায়ের সঙ্গে রাত কাটালেন ব্যক্তি, পরিণতি মর্মান্তিক...


এলাকায় শুরু হয় পুলিসি তল্লাশি। প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র, বোমা, বোমা বানানোর সরঞ্জাম, মশলা, তীর ধনুক উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই বহিসগাছি এলাকায় এক সিপিএম সমর্থকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ড্রাম তাজা বোমা। পুলিসি তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বোমার মশলা, প্রচুর তীর ধনুক। বাড়ির চাল থেকে উদ্ধার হয় বোমার সুতলি। সংঘর্ষের পর অস্ত্রের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিস।


সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবারও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এনিয়ে এই ঘটনায় মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও জারি তল্লাশি। চলছে ধরপাকড়।