Kanchanjunga Express Accident: হাসপাতালে শুয়ে বলছেন স্ত্রীর কথা, মালগাড়ির সেই `জীবিত` সহকারী চালককেই `মৃত` ঘোষণা রেলের!
Kanchanjunga Accident Goods train Alive co-driver declared Dead: তড়িঘড়ি দায় চাপানোর জন্যই কি `মৃত` বলে ঘোষণা করা হয় রেলের তরফে? এক যাত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের নামে অভিযোগ দায়ের করে রেল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর আপডেট! দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মালগাড়ি ধাক্কা মারলে দুর্ঘটনা ঘটে। বেলাইন হয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ২টি পার্সেল ভ্য়ান ও গার্ড কোচ সহ ৩টি কামরা। দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। আহত কমপক্ষে ৪৫ জন। দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ির চালকের উপরই চাপিয়েছে রেল। অভিযোগ, মালগাড়ির চালক ৪টে লাল সিগন্যাল লঙ্ঘন করে এসে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ধাক্কা মারে। এখন দুর্ঘটনার পর পরই মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালককে 'মৃত' বলে ঘোষণা করে রেল। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর আপডেট!
মালগাড়ির 'জীবিত' সহকারী চালককেই 'মৃত' ঘোষণা রেলের! গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার। চোখে মুখে তাঁর আতঙ্ক। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছেন তিনি। মনে নেই বাড়ির যোগাযোগ নাম্বার। স্ত্রী-পরিবারকেও এখনই দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানাতে চান না বলে অনেক কষ্টে জানান তিনি। এদিকে এই সহকারী চালককেই কিনা 'মৃত' বলে ঘোষণা করা হয় রেলের তরফে? স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তড়িঘড়ি দায় চাপানোর জন্যই কি 'মৃত' বলে ঘোষণা করা হল? আতস কাঁচের নীচে রেলের ভূমিকা।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি। পরিদর্শনের পর তিনি জানান, তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট করে বলা যাবে না। এদিকে দুর্ঘটনার পরই প্রাথমিকভাবে মালগাড়ির চালক এবং সহকারী চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয় রেলের তরফে। জানা গিয়েছে, এক যাত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের নামে এই অভিযোগ দায়ের করে রেল। তাঁদের বিরুদ্ধে রাশ ড্রাইভিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৯, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭ ও ৩০৪ ধারায় মামলাও শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত-প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে দায় চাপায় রেল?
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার দিন সকাল ৫.৫০টা থেকে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম কাজ করছিল না। ট্রেন চলাচল করছিল পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী। সকাল ৮টা বেজে ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA 912 ফর্ম দেওয়া হয়। এই TA 912 ফর্ম-ই হচ্ছে পেপার ক্লিয়ারেন্স। রাঙাপানি স্টেশনে পেপার ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ছত্তরহাট ও রানিপাত্র স্টেশনের মাঝে। ১৫ মিনিটের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। প্রশ্ন উঠছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে থাকায় লাইন ব্লক ছিল। সেখানে মালগাড়ি একই লাইনে এগোল কীভাবে? কে ওই লাইনে এগনোর জন্য় মালগাড়ি চালককে ক্লিয়ারেন্স দিল? নিয়ম অনুযায়ী, পরবর্তী স্টেশনের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া TA 912 ফর্ম দেওয়া হয় না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)