রণজয় সিংহ: কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা মাছ বিক্রেতার অ্য়াকাউন্টে! কীভাবে? অভিযোগ পেয়ে হতবাক স্বয়ং বিডিও। জানালেন, 'তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যে প্রকৃত উপভোক্তা, সে-ই টাকা পাবে'। ঘটনাস্থল, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখন রাজ্যে সদ্য় পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই 'কন্য়াশ্রী' প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে ১৩ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বছরে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয় মেয়েদের। ১৬ বছর হলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এমনকী, যেসব মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হতে চান, কন্যাশ্রী প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পান তাঁরাও।


মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের হরদমনগর এলাকার বাসিন্দা রিকিতা চৌধুরী। এ বছর উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। বাবা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় একেবারেই। কোনওমতে সংসার চলে। রাজ্য সরকারের কন্য়াশ্রী প্রকল্পের আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিল রিকিতা।


আরও পড়ুন: Baruipur: মেলেনি পণ-যৌতুক, ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকা বউমার সঙ্গে জোর করে যৌনতা শ্বশুরের!


বঙ্গীয় সাগর গ্রামীণ ব্য়াঙ্কে অ্য়াকাউন্ট রয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর। অভিযোগ, সেই অ্য়াকাউন্টের বদলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা ঢুকেছে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে! তারপর? ঘটনাটি জানার পর দেবেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রিকিতার পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তিনি নাকি টাকা ফেরত দিতে রাজি হচ্ছেন না! হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেছে রিকিতা। ঘটনাটি বিডিও-কে জানিয়েছে সে। অভিযোগকারীর বক্তব্য, 'একজনের কন্য়শ্রীর টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেল! আমি আমার হকের টাকা দাবি করছি'।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)